মুড়ির বাটির উপর তালের ক্ষীরের পুরু পরত,
মুখে দিতেই বুঝি দরজায় এসে হাজির শরৎ।
মুছে নাও তোমার ঘন কালো মেঘের কাজল,
ছড়িয়ে দাও তোমার ধানক্ষেতে সবুজ আঁচল।
সরিয়ে নাও তোমার ঐ সম্ভাব্য বৃষ্টির ভ্রুকুটি,
ধরিয়ে দাও তোমার হালকা কুয়াশার ধূপতি।
ভরিয়ে নাও তোমার কাশবনে নদীর দু'কূল,
ঝরিয়ে দাও তোমার শিশিরে শেফালি ফুল।
যতই হই ভাত-কাপড়-টাকা-পয়সার কাঙাল,
ঋণ করে ঘি খেয়ে মোরা উৎসবপ্রিয় বাঙাল।
সারাবছর বেলা বাড়লেও থাকি ঘুমের ঘোরে,
তবে প্রাতঃভ্রমণ করি মোরা মহালয়ার ভোরে।
অ্যাকাউন্টে ঢুকলে পুজোর অনুদান ও মাইনে,
সপরিবারে গিয়ে দাঁড়াই কেনাকাটার লাইনে।
৩ দিন খুব কম তাই ঢাকে পড়ার আগেই কাঠি,
পঞ্চমীর রাতে মোরা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে হাঁটি।
বেল গাছতলায় পুজোর মাধ্যমে শুরু হয় ষষ্ঠী,
আগমনীর আগমন ঘটে সঙ্গে নিয়ে তার গুষ্ঠী।
সপ্তমীর সকালে ভোগের থালা সাজানোর ছলে,
প্রেমের গন্ধে মেতে উঠবো তোমার কাটা ফলে।
অষ্টমীর দুপুরে অঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণের ব্যবধানে,
উভয়ে ব্যস্ত থাকবো ভালোবাসা আদান প্রদানে।
নবমীর বিকেলে সূর্য্য যখন পশ্চিমে অস্তায়মান,
বিচ্ছেদ-যন্ত্রণার অশ্রুধারায় করবো মোরা স্নান।
দশমীর সন্ধ্যায় প্রতিমার বিসর্জনযাত্রার ধকলে,
ক্লান্তি দূর করবো তোমার হাতের শান্তির জলে।