পরে পশুর চামড়া আর গাছের ছাল,
আদি মানব গুহায় থাকতো জ্বালিয়ে মশাল।
একদিন যখন হলো মানব সভ্যতার বিকাশ,
সিন্ধু নদের তীরে করলো কার্পাস চাষ।
তারা চরকা চালিয়ে বয়ন করে সুতো,
তাঁতে বসে সুতির কাপড় তৈরি করতো।
তারপরে কেটে গেছে হাজার হাজার বছর,
তবুও বিন্দুমাত্র কমে যায়নি তার কদর।
তার গঠন এতটাই সূক্ষ্ম আর মিহি,
তাকে পরলে করতে হয় না জবাবদিহি।
সে এতটাই কোমল,মোলায়েম ও মসৃণ;
যে মনে হয় যেন নিজেকে ওজনহীন।
সে এতটাই শরীরের সঙ্গে খাপ খায়,
যে ত্বকের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়।
গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে যখন ঝরে ঘাম,
তাকে পরলে পাওয়া যায় খুব আরাম।
বাজারে যতই থাকুক সিল্ক আর পলিয়েস্টার,
স্বাচ্ছন্দ্যের বেলায় কেউ কাছে নেই তার।
শাড়ি, সালোয়ার, শার্ট, প্যান্ট কিংবা ধুতি;
সুতি মানেই এক অপূর্ব সুখের অনুভূতি।