তোমাকে তেমনি ভাবে বুকে আগলে রাখবো,
যেমনি ভাবে কালোমেঘ রোদকে আগলে রাখে;
আমার বুকে তুমি থাকবে তেমনি ভাবে,
ঘাসের বুকে শিশিরকণা যেমনি ভাবে পরমানন্দে থাকে।


কলহাস্যে স্বাগতম জানাবো আমি প্রতিবারই,
যতবার আসবে বুকে;
পরম স্নেহে বুকে পিষ্ট করে যাবো,
যেন আমি পরিনত হই তোমার প্রিয় অসুখে।


একে অপরের দৃষ্টির মধ্যবর্তী স্থানে থাকবে অগাধ কামনা,
লালিমা থাকবে দু'গালে;
ঐ ঠোঁটের পিষ্টনে থাকবে এই ঠোঁট,
নিশব্দে অজস্র কাব্য যাবে বলে।


সে কাব্যকে আমি নাম দেব আয়না,
তোমার আয়না,সেখানে দেখবে তুমি তোমায়;
দেখবে তুমি,কীভাবে আমি দেখি তোমায়,
কত ভাবে আমি দেখি তোমায়।


কাব্যে বহু রূপে আমি তোমায় সজ্জিত করি,
বহুভাবে ভালোবাসি;
বহুগুণে তোমায় চাই,
বহুবার কাছে আসি।


যতটা কাছে এলে এই পৃথিবী হিংসায় জ্বলে যাবে,
ততটা কাছে আসি;
যতটা ভালোবাসলে অন্য সকল ভালোবাসাকে পিছনে ফেলা যায়,
ততটা ভালোবাসি।


দূরত্বের বিয়োজনে দু'টি নাড়ি সংযুক্ত হয়ে গড়ে ছন্দ,
দুই দেহের সংযোজনে তৈরি হয় এক মহাকাব্য;
যার প্রতিটি পঙক্তিতে আছে তোমার নাম,
যা প্রমাণ করে আমরাও এই প্রেমের দলের সভ্য।


এই সংযুক্তির সময়সীমা অনন্তকালের,
যুগের পর যুগ,শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরোবে;
পৃথিবীর রঙ ফিকে হয়ে যাবে,খণ্ড খণ্ড হয়ে যাবে সব তবু,
আমাদের সংযোগ অখণ্ড রয়ে যাবে।