নাহ, আর কোনো রব নেই আজ এই রিক্তের দেশে,
এতিমখানার ক্ষোভ-আক্ষেপ যত
ফেলে এসেছি আমি এক ফকিরের বেশে।


                                প্রতিরোধহীন, বুকের পশ্চিমপ্রান্ত—


আর, বিতর্কিত যখন দুনিয়ার সবকিছুই
ঈশ্বরও ভুলে যান খোঁজ নিতেঃ
এ জীবন—এ সভ্যতা
বহমান সবকিছুই আমাদের
নিত্য নদীপথে মোচড় খেতে খেতে
তলিয়ে যায় শেষ সায়রে


কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত রমণীর বাজরাক্ষেত থেকে
হারিয়ে যাওয়া শিশুরা,
যারা ডুকরে কেঁদেও ওঠেনা আর—
জলে বিভীষিকার ছায়া পড়লে
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হিরোশিমা’ও
হয়ে ওঠে এক সুখেরই স্বর্গ


ভুলতে থাকি বিগত যন্ত্রণা—তর্জমাহীন,
এক অযাচিত অভ্যাসে
আমাদের মূক অভিযানেরা ক্রমশ
এগিয়ে চলে নবনিযুক্ত মৃতের খোঁজে,
যেন তারাও বেঁচে ছিল কোনো একদিন!
যেন তারাও ভালোবেসেছিল কোথাও কাউকে!


                             তবুও, নৈঃশব্দ্য দূষণ—


আজ, এই এতিমখানার কতশত শায়িত লাশের পাশে,
চিৎকার ওড়ানোরও যদি একজনঃ
“নাহ, আর কোনো রব নেই, আজ ঐ সুখের আকাশে”!