আলতো ঝিনুকের ঝালর সরালেই
ভেসে আসে পাখোয়াজের মলিন সুর
আতরদান থেকে বয়ে চলা সুরভি
মখমলী ডানায় ভর করে বহু দূর …
শৌখিন কারুকাজের আসবাবে তার
কোমলতার চিহ্ন জড়িয়ে থাকা বিভাবরী
বাঈজিনাচের আসরে ঘনিয়ে আসা
বিভোর পরিবেশে বিলপমান লহরী,
তার অমৃতমাখা বিস্ফুরিতাধর মনে
জোয়ার আনে অন্যান্যবারের থেকে ভিন্ন
তবে এ ভালোবাসার দিগন্ত মিলিয়েছে
আলগোছে মায়াবী শাড়ির শরীর জীর্ণ
হয়ে খসে পড়ে এক এক করে
সব রহস্য-সব মদিরতা চিত্রপট থেকে
অথচ কোনো হাতছানির নিঃশ্বাস
অবশিষ্ট আকর্ষণকে বাঁচিয়ে রেখে
অজানা ছদ্মবেশের মোহভঙ্গ সামলে চলে;
শ্বেতবসনা মন্দিরসেবী সৌন্দর্য আলুলায়িত
আজ চরিত্রহীন বাহুপাশের পরিচয়ে
বয়স্কার বিধবা চোখ খিড়কির বাইরে
তাকিয়ে থাকে ধূসর অপারগ লয়ে
শিখা নিভে গেছে সেই ধ্বংসের রাতের
শুধু কিছু পতিত ভস্মের গ্লানি
পিছনে ফেলে আসা টুকরো গুজব
থেকে অসংখ্য ধার্মিক হানাহানি
মাড়িয়েও যেন কোথাও একরাশ শূন্যতা,
বিমুগ্ধতা পরিণত হয়েছে বিমুখতায়
হাজারো সুখী মালোপমায় রিক্ততা
শিঞ্জনের গভীরে আবেদন নাই
কেবল যেন অকারণ মানিয়ে নেওয়া
এলোমেলো ভাবনা আর কাজের সাথে
তবুও শিরাবহুলতার নেশাখোর হাত
রেখেছে ভারসাম্যহীন দুর্বল হাতে,
মুখের শোণিমা ডুবে যায় কালো
চুলের রেশমী যামিনীর আড়ালে
ছন্দ মিলতে চায়না কোথাও
শুধু রেশ রয়ে যায় আঁধারের জালে …