গোধূলির আলো জমাট বাঁধতে শুরু
করেছে পশ্চিম আকাশে,
সাহেবের বাংলোর পাশ দিয়ে যে ছোটো
নদী কয়েকমুহূর্ত আগে জল বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল,
এখন নেশার লাল তরল
ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।


শান্ত, লালাভ টেমসের ওপর দিয়ে
পাখিগুলো বাসায় ফিরতো বোধহয়
কয়েকজনের চোখে, এখানেও তাই-ই,
তবে আলো-আঁধারি আকাশকে পটভূমিকা
হিসেবে রেখে উড়ে যাওয়া পাখিগুলো
যেন অনেক আলাদা ওখানের থেকে।


সারাদিনের কাজকর্ম শেষে এসময়
ইংরেজ সাহেব আরামকেদারায় বসে
প্রতিদিন এমনভাবে চুরুটে টান দেন
যেন মনে হয় তাঁর জীবনে
এই বসন্তের বিকেলগুলো আর ফিরে
আসবে না কোনোদিনও।


গ্রামোফোনের নরম সুরে যে ছবি
পাল তোলে তার পালকে একবার কান
পাতলেই বোঝা যায় দিনের এই
গোধূলিবেলাটা কত শীতল, আর কত সৌন্দর্যহীন!
জীবনের বাহুপাশে যারা চুম্বনরত তারা
এই ছবি থেকে বহু বহুদূরে…উষ্ণতায় উদাসীন।