(১)
সীমানা শেষের শহরে আলো তরল
কেন জানিনা সেদিনও
মৌতাতের চোখে ফ্যারোসের লাইটহাউস
গড়িয়ে যায় ছড়িয়ে
কেউ ধরবার নাই কেউ
কবে বলেছিল আমি অ্যামনেসিয়া
মনে পড়েনা রাংতা কাগজের ওপর
সুগন্ধী তুমি পুড়েছে
আমার মত … আগাছার মত সবাই


(২)
কাছেই কান ঘোরের নার্কোটিকে
আওয়াজ যেন ধাতব চুড়ির কোথাও
সাইরেন দ্বীপের মোহজাল ছিঁড়ে
আঁধারে হাত বাড়িয়েছিল কেউ
কালো কিছুর কানাচে
আমি ভুলতে চাইনি বিশ্বাস ধরো


(৩)
মন্ডপের দূর থেকে শোরগোল অবহেলায়
হেসেছিল সেই শিশু ক্যালডেরাস
কেন নাচের আসরে ফক্সট্রট আমি
সত্যিই পচে গেছি মৎস্যকন্যা
নৌকা বাইচে রূপকথার হ্যান্স
স্ট্রীটলাইট জ্বলার শব্দে অসহায়
চুড়িদার ছলকে পড়েছিল নরম
ইটালির আঙুরক্ষেত গ্লাসে চুর
সর্পিল নর্তকীর আরবী কোমর
বুভুক্ষার ঠোঁট স্তন নাভি জরায়ু কত কত


(৪)
টেবিলে নারীশরীর টুকরো টুকরো ভোজবাজি
কাঁড়ি কাঁড়ি দেশ ফলবে সোনায়
অপেরা হাউস ফাটার করতালিতে
চোখের কোণে দু’ফোঁটা পানীয়
ধার দিও ওদের নোনা
ক্যালিপ্সোর পান্তা বিয়েতে না গিয়ে
বনসাই সূত্রেরা বুঝেছিল
মানুষ আজও রক্ত ভালোবাসে
রডোডেনড্রনের লোমশ টেডি বিয়ার
তুইও তো ভালোবাসতিস যখন
হাশিশ ধোঁয়ার আমি থেকে
বেজন্মা কবিতা ঝরে খুব …
খুব …