অনেক কিছু ভেবে রেখেছিল সে
লিখে রেখেছিল খুব যত্নসহকারে,
কলকাতা মহানগরীর বুকে বিশাল
কোনো থিয়েটারে তার নাটক মঞ্চস্থ হবে
আর কাতারে কাতারে লোক
এদিক-ওদিক থেকে এসে ভিড় জমাবে;
সংবাদপত্রের প্রথম পাতার রঙীন বিজ্ঞাপন,
খবরের চ্যানেলে-চ্যানেলে আলোচনা-সমালোচনা,
হোর্ডিং-ব্যানারে শুধুই তার নাটক,
তার সারাজীবন ধরে লেখা নাটক
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের অনুঘটক
দিয়ে বোনা এক নাচনীর নিখাদ কাহিনী,
মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করবে সে নিজেই;
তার জীবন্ত অভিনয়ের আবেদন
ছুঁয়ে যাবে হৃদয়ের পর হৃদয়,
শহুরে মানুষজনের চোখে চিকচিকে জল
আর বুকে গাঢ় বিলপমান ভয়
নিঃস্ব করে যাবে সমাজচেতনাকে,
অনুভূতির লীনতাপ ধরা যাবেনা শিশিরাঙ্কে;
তবে করুণার করতালি সে আশা করেনি
কেননা প্রতিনিয়ত সে লড়ে গেছে
সমাজের সাথে-আপন পরিচয়ের সাথে,
তাই ভালোবাসা না জুটলেও সে খুশী।


তার বেলোয়ারী স্বপ্নের শামিয়ানা
বাস্তবের হাত ধরেছিল যখন
তার নাটক এসে উঠেছিল মহানগরীর
রঙীন থিয়েটারের দামী টিকিট,
প্রথম রাতের ঝলমলে প্রথম শো’য়ে
কাশির বাঁধ ভাঙলো পাঁজর ছিঁড়ে,
রক্তে রাঙা হল শৌখিন মঞ্চ
আর একরাশ নীরব কৌতুহলের মাঝে
জুটলো একরাশ করুণার আস্ফালন;
নাচনী’র যবনিকা এভাবে ফেলার
পরিকল্পনা ছিলনা তার, অথচ …
অবহেলার সুতো কাটলো লবেজান নিঃশ্বাসে,
জানিনা এই কবিতারও উদয় হয়েছিল
কিনা কিছু ঠুনকো করুণার বশে!