কালো রাত ছিঁড়ে পড়েছিল কালো
আকাশ থেকে ঝোড়ো অস্থিরতা নিয়ে,
চরিত্রের ধ্বজা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে
কাল রাতেও তাঁর ঘরে জ্বলেছিল আলো।
তীব্র বৃষ্টির দাপটে বিদ্যুৎ তার পুড়িয়ে
দিয়েছিল আঁধারের শেষ আলো নিভিয়ে;
নিশির ডাকে খোলা পড়ে ছিল দরজা …


নিষ্কলঙ্ক অধ্যাপক নিখোঁজ ছিলেন তাঁর
স্বেচ্ছাবসর নেওয়া ঝুলবারান্দা থেকে,
তাঁর লেখালেখির স্তূপীকৃত পাহাড় থেকে,
দুপুরে গুনগুনিয়ে ওঠেনি পুরোনো বেতার-
হয়রান বিকেলটাও দেখিয়েছিল বেশ ফিকে
তাঁর বাগানে ক্রীড়ারত শিশুদের ফাঁকে;
আলো শেষে পড়ে থাকে শুধু ধোঁয়াশা …


একাধিক অশ্লীল চিঠি,
একাধিক পোড়া চিঠির মাঝে,
তাঁর লাশ মিলেছিল কালো ছাইয়ের খাঁজে,
কঙ্কালসার তক্তায় ছড়ানো অজস্র দেশলাই কাঠি।
বাল্বের বিদ্রুপাত্মক আলোয় দেখেছি নিজে
ফ্যাকাসে, উলঙ্গ লাশ-বেশ্যাখানার স্যাঁতসেতে মেঝে
সস্তা মদের ভ্যাপসা গন্ধে দৃষ্টি ঝাপসা!