নেশায় চুর হয়ে হেসে চুরমার
ক্রিসমাসের রাস্তায় আমুদে জনতার ঢল,
চোয়াল অবশ, চোখে আসে জল
তবুও রক্তাক্ত বিষয় যেন হাসির খোরাক!
বেলুন উড়েছে কেকের গন্ধ সুতোয় মেখে
ঐ যে দূরে মোমবাতির আলো
আলতো লাগছে প্লাষ্টিকের ফুলও,
আধো আধো বুলি গেছে কলরবে ঢেকে
আমাদের আলাদা করে দিয়ে-
হোস্টেলের জানালায় রাতহীন চোখ
শুনবে এখনো গুনগুন করা ল্যাম্পপোস্ট
সবাই এসেছিল, সেদিন বিয়ে…।
অকস্মাৎ ব্রেক চেপে ধরেছিল বাস
আর তুমি, আরে ছিঁড়ে যাবে হাতার বোতাম-
ইন্টারভিউয়ের চেয়ারে বিন্দু বিন্দু ঘাম
বরং আমরা বন্ধু হয়ে নোবো শ্বাস
গমগমে রবীন্দ্রসঙ্গীত আলগা হেডফোনে;
শারদীয়ার উপন্যাস ষড়যন্ত্রের নীরব রোয়াকে
রোঁয়াওঠা সোয়েটারে ঠিক মানায় না তোমাকে
কতবার সে লজেন্স চেয়েছে ফুটপাতের কোণে …
হতাশ হতে হয়নি অবশ্য কোনোবারই।
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে
জড়ালে গো বন্ধু … এখন তবে বৃন্দাবনে
দেখা পাবো বোধহয় একলা তারই,
মনে আছে, আমাকে মনে আছে?
না, আমি আর ঘনঘন সিগারেট ফুঁকিনা
রাংতার ওপর পাউডার রেখেও শুঁকিনা
মাঝেসাঝে হেসে খুন হই মিছেমিছে
কত কি ভেবে রেখেছিলাম জানো …
সব কথাগুলো তালগোল পাকিয়ে গেল
অগোছালো, কত নরম তোমার চুলগুলো!
না না, চলে যেওনা, একবার শোনো …
বুকে ব্যথা-হাসা যাবেনা আর এখন,
দু’কলি আনন্দের গান গাইবে?
এত ব্যথা জলপরী তুমি কিকরে সইবে
হারিয়েছো তোমার হাসি যখন!
দুঃখে আর হাসিতে মিলেমিশে একাকার
তুমি-আমি আগামী পরবের পাতলা রাতে
নানান উপহার বুড়ো সান্তাক্লজের হাতে
তাই নেশায় চুর হয়ে হেসে চুরমার … ।



২৫।১২।২০১০                                       কাটোয়া,বর্ধমান।