পার্লামেন্টে অকারণ উৎপাত;
আরো একটা কেলেঙ্কারি
আরো একটা বাঘা মন্ত্রী চিৎপাত।


মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা ছেড়ে বন্ধু
একটু আধুনিক হতে শেখো,
ডাল-ভাত-তরকারি তুলে
হুইস্কি-চিকেন বিরিয়ানিতে চোখ রাখো।
শপিং মলে যাও-
স্ত্রী-প্রেমিকাকে ভালোমন্দ কিছু কিনে দাও;
কি বাপু কঞ্জুসের মত পৌরুষ
লুকিয়ে রেখেছো মানিব্যাগের কানাগলিতে!
ছড়িয়ে দাও, ছড়িয়ে দাও যেভাবে মড়া
গেলে খই ছড়িয়ে দেয় রাস্তায়-পল্লীতে।


আর চরিত্র!
চরিত্র-চরিত্র করে বছরগুলো,
নিরামিষ ছাগশিশুর মত
একেবারে বিফলে গেল!
আর নয়,
ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরও তো জুয়ো খেলতেন-
আমি তো চিনি বওয়া পিঁপড়ে মাত্র।


বনমানুষরাই আসল মানুষ,
বাকি তো সব মায়া-
গোরু-ভেড়া-ছাগলের মত চরে বেড়াও
মনকে ছোটো হতে দিওনা ভায়া।
আকাশের চেয়ে বড়ো ছাদ দেখেছো কোথাও?
যেখানে দাঁড়াবে পায়ের তলার সেটুকুই তোমার,
কাজেই রাজ্যের জমি রাজার হাতে তুলে দিয়ে
বলে ওঠো যাযাবর আবার,
"চরৈবেতি"!
নইলে ঈশ্বরনিন্দুক তুমি যে রাজদ্রোহী।


তিন-চারজনের চা-সিগারেটের খরচায়
যদি দেশের রাজকোষ শূন্য হয়ে যায়,
তা যাকনা! তোমার তাতে কি?
তোমার খাজনা দেওয়া কাজ
খাজনা দিয়ে যাও,
আর অবসরে পেট চাপড়ে বাজনা বাজাও।
রামাসক্ত হয়ে দেশাত্মবোধক গান শুনো
মাঝেসাঝে-ভালো লাগবে;
গ্রামে হুকিং আলোতে তাকিওনা
সারি সারি ভাঙা কুটীরের দিকে-
কৃষক বধূদের গুটিকয়েক পোড়া স্বপ্ন
দীর্ঘশ্বাসের আঘাতে যেন ফিকে…
অনলাইনে সেই তিন বাঁদরের পথে এগোবে।


মুক্ত জীবনের পিছনে ছোটো,
বিয়ার বারের সুন্দরীরা তোমার পিছনে ছুটুক,
বসন্ত আসবেই ফুল ফুটুক ছাই না ফুটুক।