দেবরাজদা’র বাড়ির বৈঠকখানায় যখন
শখের কবিদের আসর বসতো প্রতি রবিবার,
সেখানে বয়স্কদের জ্ঞানগর্ভ পংক্তির ফাঁকে
প্রায়ই চোখ চলে যেত জানালার কিনারায়,
আগ্রহী ভঙ্গিমায় এক নিশ্চল ছায়ামানবী যেন
আড়ি পেতে আমাদের আলোচনা শোনে!


বিষয়টা দেবরাজদা’র গোচরে আনতেই তিনি
উঁচু গলায় একদিন হাঁক পাড়লেন,
আর মুহূর্তের ভগ্নাংশে ছায়ামানবী হাওয়া!


বেশ কয়েকদিন পর বৌদির বদলে
চায়ের ট্রে নিয়ে নিটোল ঘরে ঢুকলো
বছর আঠেরোর এক শ্যামলা যুবতী,
আমার কৌতুহলী চোখে তিতলিদি’র হাসিচাবি,
“নতুন পরিচারিকা তাহলে কবিতা পিপাসিনী;
কি নাম যেন ওর? শাল্মলী, বেশ … ”