এই পথে প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে আমি অবশেষে
যখন হয়েছি আমি ক্লান্ত পথিক
বিশাল বটের তলে সবুজ ঘাসের বিছানায়
অবোধ শিশুর মতো কখন যে শুয়ে পড়েছি
কোন কিছু আজ আমার মনে নাই ঠিক।
কয়টি নিমেষ পরে ঘুমের কোমল বুকে ঢলে পড়লাম
তারপর ধীরে ধীরে চেতনার বিপরীতে এসে
একটি মেয়ের যেন হাত ধরলাম।
একটি প্রেয়সী মুখ গোলাপের মতো যার রং
ধীর পায়ে হেটে এসে পাশে দাঁড়ালো
তারপর হেসে হেসে এই মুখ ভালবেসে
অচীন রাজ্যে শেষে পাও বাড়ালো।।
যে দিকে তাকাই শুধু ফুলের মেলা
রঙিন বাগানে শুধু পরীর খেলা।
পরীদের কাছে এসে গল্পের অবশেষে
মনে হলো কেউ যেন নাই
কোনখানে গেলো সেই গোলাপবদনি মুখ
কোনখানে গেলে তারে পাই।
মরমের মাঝ খানে বেদনা জোয়ার টানে
তারে বুঝি পেয়েও হারাই!
উচ্চকণ্ঠে তারে যখন দিয়েছি তারে ডাক
অবুঝ পথিক সেই হয়েছে অবাক।
ফুল,পরী প্রিয়মুখ কোথায় হারালো
কেন এ স্বপ্নসুখ নিঃসঙ্গ পথিকের
বেদনা বাড়ালো।
তারপর ধীরে ধীরে উঠে পরলাম
অচেনা পথের বুকে আবার এ পথিকের
সঙ্গিবিহীন পথ তুলে ধরলাম।
স।৪।৩৪
৪।৬।২৩