একছিল রাজা।
তবে বংশের আশির্বাদে নয়,
রাতের অন্ধকারে সুযোগ সন্ধানি ঘাতকের মতো নয়
বরং জীবনের রং বিবর্ণ করতে করতে
বাংলার শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে ঝড়তে
রাজপথের উত্তপ্ত মিঝিল থেকে ঘাম পরতে পরতে
অসম্ভব সাহসিকতায় মৃত্যুকূপের মধ্যে অনশন করতে করতে
তিনি রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলেন।
সত্যিকারের রাজাই ছিলেন অথচ কি আশ্চর্য ব্যাপার
মাথায় তার ছিল না কোন রাজমুকুট,পরনে ছিল না কোন বাদশাহী পোশাক।
বাঙালিত্বের পোশাকেই ছিল তার বাদশাহী অলংকার
অনাড়ম্বর সাদামাটা পায়জামা আর পাঞ্জাবি এই ছিল তার অলংকার।
বাংলাদেশের সত্যিকারের রাজাই ছিলেন তিনি
অথচ ছিল না তার কোন রাজপ্রাসাদ।
ঢাকা শহরের আর দশটা বাড়ির মতো ছিল না তার বিলাসবহুল বাস ভবন
একজন নিরংকারী যোগ্য শাসকই শুধু ছিলেন না
তিনি ছিলেন একজন দায়িত্ববান আদর্শ স্বামী
একজন স্নেহশীল চিরন্তন পিতা
একজন কোমলমতি নানাও ছিলেন তিনি।
শোষিত, বঞ্চিত সকল শ্রেনীর মানুষের প্রকৃত বন্ধু।
ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়িটি যখন সোনার বাংলার স্বপ্নে বিভোর
তখনই নেমে এলো এক অদ্ভূত কালো রকমের রাত।
উদ্ধত, অব্যর্থ বুলেটের নির্মম আঘাতে ৩২ নং এর শান্তিপূর্ণ সেই স্বপ্নপূরী
নিমেশেই হয়ে গেল মৃত্যুপুড়ি।
বাংলাদেশের শ্যামলে,সবুজে লালিত বঙ্গবন্ধুর অশান্ত রক্তস্রোত দেহ থেকে বেরিয়ে পড়ল নিমেশেই।
তারপর সেই বিপ্লবী অভিমানি রক্ত গড়াতে গড়াতে ছড়িয়ে পরল পদ্মা,মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরি,বাঙালি,ইছামতি সবখানে।
ছড়িয়ে পড়ল ফসলের মাঠে, নদীর ঘাটে ঘাটে।
তারপর সূর্যাস্তের লালে লাল হয়ে মিশে গেল চিরদিনের জন্য।


৩৭/১৫