আমাকে বেঁধে ফেলো শক্ত করে
আইনের কঠিন শিকলে শৃঙ্খলিত করো আমায়
যেনো আমি উদ্ধত হতে না পারি
যেনো আমি উৎশৃঙ্খল হতে না পারি
যেনো আমি দুর্বিনীত হতে না পারি।
কারাগারের সুউচ্চ দূর্গে আমাকে আবদ্ধ করে ফেলো
যেনো আমি মানুষকে পর্যদুস্ত না করি
যেনো আমি মানুষকে
রক্তাক্ত করে ফেলতে না পারি
যেন আমি মানুষকে সর্বস্বান্ত করে ফেলতে না পারি।
আমার মুখে কঠিন ধাতবের তালা লাগিয়ে দাও
যেনো আমার মুখ থেকে
দুর্গন্ধযুক্ত শব্দ বের হতে না পারে
যেনো আমার মুখ থেকে
অসত্য উক্তি বের হতে না পারে
যেনো আমার মুখ থেকে
যন্ত্রণাদায়ক শব্দ বের হতে না পারে।
উপযুক্ত আইনের লৌহশাসনে
আমাকে শাসিত করো
যেনো আমি পরিশীলিত হই,
পরিমার্জিত হয়ে যাই।
সূক্ষ্ম বিচারের কঠিন শাসনের চাবুকে চাবুকে রক্তাক্ত করো আমার আদিম সত্তা
ক্ষতবিক্ষত করে ফেলো আমার দুর্বিনীত মন
যেনো আমি অহংকৃত হতে না পারি
যেনো আমি কামনাতপ্ত হতে না পারি।
উচিত বাক্যের উত্তপ্ত আগুনে আমাকে দগ্ধ করো
ঝলসিয়ে দাও আমার হিংসিত মনন।
কালো কাপড়ের পুরু ঢাকনায়
আমাকে ঢাকিয়ে ফেলো
যেনো আমার নির্লজ্জ চোখ থেকে
লোভাতুর রশ্মিগুলো বের হতে না পারে।
সত্যবাক্যের রৌদ্রদহনে আমাকে শুকিয়ে ফেলো
অতলান্ত দরিয়ার গভিরে
লুকিয়ে ফেলো আমার পাপিষ্ঠ সত্তা।
আমি যেনো নির্মল জোত্স্নার মতো প্রকাশিত হই।
আমি যেনো আবিস্কৃত হই জনতার সকাশে
শুক্লা দশমীর স্নিগ্ধ চাঁদিমার মতো।


ক।৫৬/৩৭