সেই সুদর্শন, সাহসী, ভাবুক কবির  সাথে
ভাষা নামের পূর্ণযৌবনা, গুণবতী, সুন্দরী মেয়েটির
সার্থক মিলনে জন্ম হলো একটি কবিতার।
নিরন্তর ভেবে চিন্তে অস্থির হয়ে উঠলেন কবি।
কি হবে এই কবিতার ভবিশ্যৎ।
সে কি বেঁচে থাকবে অগণিতকাল?
ইতিহাসের স্বর্ণপত্রে লেখা রবে কি তার নাম?
কৃষ্ণ শিলার সূক্ষ্ম লিপিতে লেখা হবে কি তার জীবন, জন্মবৃত্তান্ত?
সভ্যতার কালো দিগন্তে সে কি ঝড় তুলতে পারবে?
সে কি পারবে তার ঐন্দ্রজালিক ডানায়
ঢেকে ফেলতে সমস্ত আকাশ?
কবির শরীরে ঘাম ঝড়তে লাগলো নিমেষেই।
নিতান্ত ঝড়োয়া প্রহরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেন কবি।
ধীরে ধীরে দাড়ালেন কবি সোজা ভাস্কর্যের মতো।
তারপর ভিষণ সাহসে প্রচন্ড প্রত্যয়ে নিরব হলেন।
বললেন,"আমার কবিতার নাম বজ্রপাত"।
এক মহিমান্বিত ক্ষণে কবিতার জীবন সঁপে দিলেন
বিশ্বপালকের হাতে।


ক।৫৪.২৯