একটা দূরন্ত কবিতার জন্ম হবে আজ
একটা দুর্ধর্ষ কবিতার জন্ম হবে আজ
একটা অশান্ত কবিতার জন্ম হবে আজ
একটা বিপ্লবী কবিতার জন্ম হবে আজ।


দীর্ঘপ্রতিক্ষীত সন্তানহীন রমনীর গর্ভধারনের আজন্ম ইচ্ছার মতো
লজ্বাশীল বিনম্র কিশোরীর প্রথম প্রেমের দিশেহারা অনুভূতির মতো
ন্যায়পন্থী যোদ্ধার শহীদী ইচ্ছার মতো


চৈত্রের কলঙ্কিত আকাশে দিশেহারা শব্দগুলো আজ
দিগভ্রান্ত পাখির মতো কেবলই উড়ছে আর উড়ছে
মাতৃহারা অনাথ শব্দগুলো মায়ের কোলে ফিরে যাবার জন্য এখানে সেখানে শুধু ঘুরছে আর ঘুরছে
এমন সময় বজ্রবিশানে আকাশের ইশান কোনে কার যেন আগমনি বার্তা ঘোষনা করা হলো।


কবির মস্তিস্ক ধরীত্রীর জড়ায়ু সমুদ্র উপকূলে উঠল ঝড়।
নবসৃষ্টির প্রচন্ড প্রসব বেদনায় অস্থির হয়ে উঠল কবি।
অবশেষে ধরিত্রী বক্ষে বেড়িয়ে এলো সেই শিশু।
সবাই অপলক চোখে অপার বিষ্ময়ে তাকিয়ে রইল শিশুটির দিকে।
তারা সবাই বলে উঠল এটাই কি সেই কবিতা শিশু
যে দুনিয়ার সমস্ত লাঞ্চিত মানুষকে এক মিছিলে নেবে?
এটাই কি সেই কবিতা শিশু যে দুনিয়ার সমস্ত জুলুম আর জালিমের কবর দেবে?
৩১/১৩