(১)

মা ফাতেমার কলিজাতে আগুণ ভয়াল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।
ফোরাতের বুকে মাগো কত ছিল পানি
কেড়ে নিল সকলি যে এজিদ বাহিনী
কলিজা শুকায়ে গেল পানির আকাল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।


মরুর আগুণে মাগো হোসেনে শুইলো
হোসেনেরো বুকে মাগো সিমারে বসিল
গলাতে চালাইলো হায়রে খঞ্জর ধারাল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।


হোসেনেরো মাথা মাগো সিমারে কাটিল
চাঁদ, সুরুজ, গ্রহ, তারা কান্দিয়া উঠিল
পশু পক্ষি কান্দে জারে শোকেতে মাতাল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।


পানির মাছেরা যত শোকে দিশাহারা
মায়ের কোলেতে শিশু কেন্দে হলো সারা
বাতাস থামিয়া গেল শোকে বেসামাল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।


বৃক্ষরাজি কান্দে শোকে নিরব হইয়া
রক্তে ভিজিয়া গেল আকাশের হিয়া
এজিদের পাপে শহীদ ফাতেমা দুলাল
যে দিকে তাকাই আজকে মা দেখি কেন লাল।
           ৪/৮
                         (২)
আয় নামাজি খোদার ঘরে সেজদা করি আয়
খোদার ঘরে সেজদায় গিয়ে নিজেরে হারাই।
তোমার আমার এই জীবনের যত আছে পাপ
দুহাত তুলে দোয়া করো খোদা দেবেন মাফ
যদি মোরা তওবা করি খাটি 'দিল'এ ভাই
আয় নামাজি খোদার ঘরে সেজদা করি আয়।


অযু করো ভালো করে গোনাহ তোমার ঝরে যাবে
বুকে যদি ঈমান থাকে নামাজে তুঁই শান্তি পাবে।
এই দুনিয়ায় কত কিছুই আপন আছে তোমার আপন
আপন তোমার কি যে আছে ভেবে দেখো ওরে মন
নিজেকে তুই ভূলে গেলি কিসেরই মায়ায়।
আয় নামাজি খোদার ঘরে সেজদা করি আয়
খোদার ঘরে সেজদায় গিয়ে নিজেরে হারাই।
         ৩/১৭
(আসন্ন ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উপলক্ষে লিখিত গীতি কবিতা। ইউটিউব- shanti tv-শান্তি টিভি)