আত্ননিমগ্ন গভীর রাতে
ডাহুক ডাকা অন্ধকারে
আচমকা ঘুম ভেঙে যায়।
একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন আপদমস্তক ঘিরে ধরে।
আমি নিশ্চল পাথরের মুর্তির মতো হই।
কৃষ্ঞ বর্ণের দুঃস্বপ্নের দানব
লোমশ  হাত বাড়িয়ে দেয় আমার দিকে।
অসহায় কলমটি কেড়ে নিতে চায়।
শব্দপদাতিক এর মুখ বন্ধ করতে চায়।
ঘুমের মধ্যে স্পষ্ট শুনতে পাই
যুদ্ধাক্রান্ত নিরীহ মানুষের আহাজারি
যুদ্ধাহত শিশুর গগণবিদারি কান্না।
যুদ্ধ দানবের রক্তচক্ষুর বিদ্যুতাঘাতে
মানবতার মানসমুর্তির অবকাঠামো
দুমড়ে মুচড়ে পরে যায় ধূলায়িত রাজপথে
প্রগতির মহাসড়ক হয়ে পরে অবরূদ্ধ।
তখন শুরু হয় মৃত্যু
মানবতার মৃত্যু
সুখের মৃত্যু
স্বপ্নের মৃত্যু।
৪৯/৩৫