এবার আমার উপন্যাস লেখার পালা।
কবিতা লেখার কঠিন দায় থেকে
অবমুক্তি চাই এবার।
কবিতার মধ্যে নাই কোন সৌখিনতা
ঘুরে ফিরে কষ্টের সাতকাহণ।
দীর্ঘশ্বাস, ছন্দহারানোর যন্ত্রনা।
তাই এই হাত থেকে শুরু হোক এবার উপন্যাস।
উপন্যাসের শুরুতে
একজন আদর্শ স্বাধীনচেতা রাজা।
রাজার সৌখিনতার কোন কমতি নেই
রাজ্যের মঙ্গলের জন্য সদা উদগ্রীব
প্রজাসাধারনকে নিয়ে স্বর্গরাজ্যের কাছাকাছি।
অল্পদিনেই রাজার প্রশংসা ছড়িয়ে গেল সবখানে।
মন্ত্রীদের মধ্যে
একজন হিংসায় জ্বলে উঠল মনে মনে
প্রতিবেশী দেশের সাথে গোপনে হাত মেলালেন।
মন্ত্রী, সেনাকর্মকর্তা, আমলাদের সাথে যোগাযোগ করলেন।
খাল কেটে কুমির আনার পালা।
গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজা উৎখাত হলেন।
মিথ্যা অভিযোগে রাজার মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো।
উপন্যাসের মধ্যে আবার কবিতার নির্যাস।
প্রজাদের মধ্যে আবার শুরু হলো সেই কষ্ট।
আবার সেই উপন্যাসের মধ্যে কবিতা
কবিতার মধ্যে সেই পোড়ামন
পোড়ামনের মধ্যখানে
আবার সেই কবিতার দীর্ঘশ্বাস।
৫৩/১