আমি এক কণ্ঠশিল্পী হতে চাই।
খ্যতনামা শিল্পী নয় কিন্তু।
হতে চাই শান্তি শিল্পী, মায়াবী শিল্পী।
হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ার বাঁশির মতো
মোহনীয় সুর তুলতে চাই কণ্ঠে।
মায়াবী সুরের স্বর্গীয় আবেশে আবিষ্ট করতে চাই।
সম্মোহিত করতে চাই।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে ফেলতে চাই সবাইকে।
মানব হৃদয়ের গোপন বীজন দীপাঞ্চলে
ঝড় আনতে চাই।
প্রেয়সীর কালো ডাগর চোখের সীমান্ত অঞ্চল
ডুবিয়ে ফেলতে চাই লবণাক্ত জলের জোয়ারে।
আমার করুণ সুরের আবেগী মাধূর্য্যে
মোহাবিষ্ট হবে প্রেমিক।
নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকবে সে নির্জন প্রহরে।
আমার সুরের উদ্দীপ্ত ঝংকারে
রক্তের হিমোগ্লোবিন কম্পিত হতে থাকবে
সেই সব বীরমুক্তিযোদ্ধার
হৃদয় প্রসারিত হতে থাকবে।
দুচোখের অক্ষিপটভূমি রক্ত রেখায়
আরক্ত হয়ে উঠবে।
সমস্ত শরীরের সাহসী পেশীগুলো
শক্ত হয়ে উঠবে ভীষণ।
কোটি কোটি কোষকলা দুর্বীনিত হয়ে উঠবে।
আমার সুরের ঝড়োয়া সংঘাতে
কবির হৃদয়ের ভাবের সাগরে উঠবে ঝড়।
বাক্যবনাঞ্চল চঞ্চল হয়ে উঠবে।
কবে আমি হবো সেই মায়াবী শিল্পী।


ক।৫৬/২২