রাত এলো কালো রাত ঢেকে গেল ওই চারিধার
দিব্যি দুটো চোখ আছে ললাট অঞ্চলের নীচে
জেগে আছি, চোখ খোলা তাও ক্যানে সব অন্ধকার?
কাল রাত কেটে গেলো মাত্র ক'টা দিন
দেখি এক বাঁকা চাঁদ আকাশের গায়ে ঝুলে আছে।
কোথ্থেকে এল চাঁদ, কিসে হলো রুপে অপরুপ
জগতের সব কবি কবিতায় লিখে রাখে চাঁদের স্বরুপ।
চাঁদহীণ কালো রাত আকাশের গায়ে দেখি ফুল ফুটে আছে
বিশ্ববাগান জুড়ে এই সব জঁমকালো ফুল
কে ফোঁটালো কে সাঁজালো কে মেশালো সেই ফুলগুলো
কে ভাসালো সেই ফুল বিশ্বচরাচরে।
কভূ দেখি শীতকাল কচি, বুড়ো হাঁড় গুলো কাঁপে
গ্রীষ্মে আগুণ ঝরে, ঘাম ঝরে, মাঠ ফাঁটে ভিষণ উত্তাপে।
বর্ষা যখন আসে মেঘ মেয়ে কোন শোকে কাঁদে আর কাঁদে
শরতে মেঘের মেয়ে, কাশফুল, আলো, বায়ু হাসে আর হাসে
কত কবি পরে যায় শরতের রুপের ফাঁদে।
মাঠে মাঠে ধান কাটা এই সব পাড়া গাঁ'য় হেমন্তের দিনে।
আবার দেখছি ফিরে গাছে গাছে ফুল ফুটে আছে,
পাখিরা গাচ্ছে গান, পাতারা যাচ্ছে সব খসে
কবিগণ বনে বনে বসন্ত নিচ্ছে শুধু চিনে।
গতকাল যেই শিশু ছিল কিনা মায়ের আঁচলে
আজ দেখি তারা সব কিশোর কিশোরী হয়ে
হরিণের মতো চলে।
আজকের দিনে যারা কিশোর কিশোরী
কাল তারা ঠিক হবে যুবতি যুবক
আগামি পরশু হবে পূর্ণ বয়সী লোক।
প্রতি দিনে ক্ষণে ক্ষণে এই সব পরিবর্তন
জগত বিধাতা যিনি জগতের ভাগ্য লেখায়
কি কারনে, কোন সুখে?
কেউ কি বলে দিতে পারে?
ললাটে সে লিখে দিল ভাগ্য লিখণ।
১/১৫........২০১৫