ঐ যে আমার একটা দিঘী ছিল
টলটলে আর কাচের মতো স্বচ্ছ ছিল তার জল
লাগতো তাকে দেখতে সদায় হাসোজ্জ্বল।


বিকেল বেলার হেলান দেওয়া সূর্যটা
তার সোন ছড়ানো প্রভা ফেলত দিঘীর গায়
দেখে যেন মনে হতো
তার গায়ে
হিরের টুকরো খচিত আবরণ পড়িয়ে দিয়েছে কেউ।
মৃদু শীতল সমীরণ তার গায়ে জাগাতো আরো
ছোট ছোট ঢেউ।


আঁখি যুগল অবাক দৃষ্টিতে দেখতো তার অপরূপ রূপ
আর হতো কেবল বিস্ময়ে বিস্মিত।


নারকেলের পাতার ফাঁকে ফাঁকে
লুকোচুরি খেলত চাঁদ তার জলকণার সাথে।
উদাস হাওয়া দোলা জাগাতো এসে যেন
তখন মনের মাঝে।


দুপুরের তপ্ত রোদে
তরুর ছাড়া থাকতো যেন তার গায়ে হেলান দিয়ে।


হংসগুলোর নীরব সুরে
বেড়াতো তার জলে আপন ডোরে।


দিঘীর কোণে ফোটতো কিছু শতদল
দেখে যেন মনে হতো
তার ঠোটের কোণে লেগে আছে
মৃদু হাসির দল।


তার অপরূপ রূপ বাড়ায় কেবল
মায়া আর মায়া
তাই তো তাকে ছাড়তে পারে না
এই নির্বোধ কায়া।


28/06/2018