ইচ্ছে গুলো আজ চেয়েছে
বাসন্তী রাঙা শাড়ি গায়ে জড়িয়ে
বন্ধনহীন অলক পুষ্পে সাজিয়ে
বই মেলার শত ভিড়
আর ব্যস্ততার মাঝে
হাতটি তোমার ধরে
শেষ বিকেলের রক্তিম সূর্যের আলোয়
কিছুটাক্ষণ কাটাবো না হয়
নব ফাল্গুনের দিগন্ত ছোয়া
আগুন লাগা নানা রঙের পরশে।


বসন্তের বসন্তদূত কুহু রবে
গেয়ে উঠার আগে
দুটি মন না হয় গেয়ে যাক
হিয়ার অব্যক্ত অজস্র কথা
না বলা প্রণয়ের সুরে
বই মেলার জনসমুদ্রের স্রোতে।


শরৎ আর রবি বাবুর বইয়ের পৃষ্ঠা
উল্টে দেখার ছলে
ক্ষণেক না হয় দেখবে নয়ন
তোমায় আড় নয়নে।


নয়নে নয়ন পড়ে গেলে
মুচকি হেসে ফিরাবে নয়ন
বইয়ের পাতায় ফের লাজুক বদনে।


খানিক রবে নিরবে
দৃষ্টি রইবে ব্যস্ত বইয়ের পাতায় পাতায়
মনটা তবু সুযোগ পেলেই যেন
দৃষ্টি আমার দিকেই ছড়ায়।


জীবনানন্দের ক্ষণেক আনন্দটুকু
তুমি তোমার কণ্ঠে তোলে
বলে উঠো হঠাৎ আনমনে
“আমি যদি হতাম বনহংস
বনহংসী হতে যদি তুমি।”


জনসমাগমে দৃষ্টিটুকু রেখে লাজুক নয়নে
বলবো না হয় ছোট করে
“পাগলামি কি মানায় সবখানে”


দুষ্টু-মিষ্টি সময়টাকে
ক্যামেরার আলোর ঝলকানিতে
বন্দি হবো দুজনে এক ফ্রেমেতে
সময়ে যে পরিচয় পেয়েছে
সেলফি নামেতে।


আকাশ জুড়ে ছড়াবে
শত রঙের রঙিন প্রেমের প্রজাপতি,
ঝড়া-পতার গানের সুরে
গাদা-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া-শিমুলের রং লাগিয়ে
চারদিক ছড়াবে প্রণয়ের দ্যুতি।