একদিন ভোর সকালের স্নিগ্ধ রৌদ্রের আকাশে
শীতের সকালের শাদা কুয়াশার মতো ভেসে ভেসে
চলে যাব ধান--মাঠ--ক্ষেত--পুকুর পিছনে ফেলে
কত মরুভূমি--নীল নদ পেরিয়ে--সব বাধা ঠেলে
বহুদিন পর বাড়ি যাবার মতো চোখে---------মুখে
আনন্দের তীব্র ঝর্ণাধারার শাদা পানি গায়ে মেখে
জীবনের সব অবসাদ ঝেড়ে ফেলে-অতিথির বেশে
চলে যাব আমি-সবুজ কচি কড়ইয়ের পাতার দেশে!
যেথায় তীব্র বাতাসে কড়ইয়ের কচি পাতা ঝরে
পড়ে না পৃথিবীর মাটিতে-----------হাতে হাত ধরে
একসাথে মিলেমিশে তারা সেথায় করে বসবাস;
যেথায় শুনা যায় না কালো রাত্রির আহত নিঃশ্বাস!
কড়ইয়ের কচি কচি সজীব  সবুজ পাতার মাঝে
আমি থাকব মুখ লুকায়ে--ঠাণ্ডা বাতাসে ভেসে
সেই মায়াবী দেশের পর সন্ধ্যা আসবে নতুন সাঝে;
শিশিরের নরম শাদা জল আমার ঠাণ্ডা গা ঘেঁষে
পড়বে কড়ইয়ের পাতায়--আমি বিশাল কড়ই গাছে
কড়ইয়ের সজীব পাতাগুলোর সাথে থাকব শুয়ে;
হালকা ঝড়ের বাতাসে কড়ইয়ের ডাল যাবে নুয়ে।
আমি কড়ইয়ের কচি পাতাগুলো গায়ে জড়িয়ে
কড়ইয়ের ডালের পাখির নীড়ের পাশে থাকব ঘুমায়ে
পাখির মায়ের মতো কড়ইয়ের পাতাগুলো ভালবেসে
আমি একদিন চলে যাব কড়ইয়ের পাতার দেশে!
যখন কালো অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যার আকাশে
কড়ইয়ের পাতাগুলো দোল খায় দক্ষিণা বাতাসে।
আমিও কচি কড়ইয়ের পাতার মতো দোল ---খাব,
কড়ইয়ের কালো বাকলের সজীব ডালে ঝুলে ঝুলে!
রৌদ্রের আলোয় রান্না করে কড়ইয়ের সাথে ভাত খাব;
মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিব কড়ইয়ের শুষ্ক মূলে।
হয়তোবা কোনো এক শিশু হাতে ঢিল নিয়ে বসে
থাকবে কড়ইয়ের ছায়ায়---কখন যে উঠে ভেসে
পুকুরের উপর শোল মাছ! এই বিস্তীর্ণ পথের শেষে
যতদূর চোখ যায়--শুধু কড়ই গাছ থাকবে অবশেষে!
হয়তোবা কোনো এক নারী ছেড়া শাড়ি পড়ে-ক্লান্ত মুখে
এই কড়ইয়ের ছায়ার নিচে বসে থাকবে কিছু ক্ষন।
তার সব আশা--ব্যথা বুকের কোনে সযত্নে রেখে
কাঁদবে আমার আর কড়ইয়ের পাতা গুলোর মন।