তোমার সব আছে , বেশ তো , আমাদের কিছু নেই
কিছু তো আমাদের দাও ! ফুরোবে না , ফুরোবে না
নীল জলরাশি থেকে এক অঞ্জলি জল যদি কেউ নেয় ধার কিংবা ধর
ঋণ , সাগরের তাতে হয় কি কোন ক্ষতি ! হিসেবের খাতাটা মেলে
ধরো একবার । কেবলি শুধোতে হবে ঋণ ! দারুন সুবিধায় আছ বটে
কেউ নেয় না আয় –ব্যয়ের হিসব, খবর
সরকারি কোষাগার তবু, মাসে মাসে করে সুদের হিসেব, আসলের
এবং তা কেবলই তা আমাদের !
হিসেব কষেছি বটে, সাত মহল তোমার , উর্বর
জমি হাজারে হাজার ! সানাই নহবত, বান্দী দাসদাসী
নাজির উজির লাখে লাখ ! চন্দের মত নর-নারীগণ বিনা পণে পায়ে পায়ে ঘোরে
সেবা দাস-দাসী হতে ! বাঘে মোষে এক ঘাটে খায় পানি , তুমি তো সব জলের ধারা
রেখেছ বটে এটে ! অলিক ক্ষমতা তোমার ! তবু
বারোয়ারী মানুষ যেন মরে জলের তৃষায় , পণ তোমার!
ভাবনা কেবল , এখনও বেঁচে কেন সেই সব কিছু মানুষ
বাঘ মোষ নয়, সুধা হরিণ হরিনী নয়, ধবল অমৃত
বকও নয় , নয় কণ্ঠহার কহু কোকিল ! কেবলি মানুষ, দুর্বিনীত !
হরদম খায় মার তবু দেখ হিসেবের কেমন কাঙ্গাল , ঘুরে মরে পায়ে পায়ে
পথে পথে ! নেই ভয় গুলি, মেশিন গান , চাবুকের ?
মরেও মরে না ওরা , কীট পোকামাকড় ? হায় , ভয়হীন ওরা কি
একদিন শেষ মেস হতে পারে সর্বগ্রাসী ?