ডল কি জানে না সেই মেয়েটি , তাঁর মা যেমন চেনে না ডলার
টাকা চেনে , চিনতেই হয় ক্ষুধার তাড়নায়! মেয়েটি পুতুল খেলে
মায়ের এক টুকরো ছেঁড়া শাড়ির আচলে তিনকড়ি  লাল সুতোয় গিট দেয়া
তাই কত ? রাজপথের জলন্ত বুকের এককোণে বাতির স্তম্ভ , সেখানে সে
একাকি ঠায় বোসে । তিন কিংবা বড় জোর চার  বয়স ! এ বয়সেও ফেলে দেয়া
দারুন অরক্ষিত সে ! মা গেছে , বাসা বাড়ীর কাজে , কোন ফাঁকে  চলে আসা
প্রকাশ্য রাজপথে । মা  নিশ্চয় এতক্ষণে খুঁজছে তাঁকে
তার পরও লাল নীল বাতি , ভেঁ পো , রাস্তা , মানুষ , পুতুল !


পুতুল হাতে জ্যাম গাড়ীতে বসা লালচে কোঁকড়ানো চুলের মেয়েটি - দেখ মামনি , খুদে মেয়েটির হাতে কি সুন্দর ডল ! মা, মুখ বাঁকাল , ডল নয় ত্যানার পুতুল ! ত্যানা কি মা ? ডল আর পুতুলে কি ফারাক ? পরে বুঝবি , মায়ের তড়িঘড়ি উত্তর ।  নোরা নামের মা-টি মনে মনে  ভাবল ,  সে  আজ থেকে আর কোন ডল কিনে দেবে না , মেয়েকে ! মেয়ের ভাগ্যও  যদি তার মত পুতুল পুতুল হয়ে যায় ? আর ঐ ক্ষুদে মেয়েটি , তাঁর কোন কপাল নেই , দেখা যায় স্পষ্ট লিখন কপালের ! ও পুতুল খেললেই কি , না খেললেই বা কি ?


বোকা পুলিশ লাল বাতি জ্বালিয়ে বসে আছে অহেতুক
জটলা কম এ পাশটায়  । ছেড়ে দেয়া যায় অল্পসার গাড়ী ! না, রাজা যায় ও পথে
যাওয়া চলবে না , থামাও । তবে থামা কিছুটা নিধারিত !
ডলারের দাম বাড়ল কি কমল, রাজা  এখন আর  মোটেও নন চিন্তিত  
কদিন পর বাসা বাড়ীর চাকরি হারাবে ক্ষুদে মেয়েটির মা
তবুও তো অরক্ষিত রাজপথে চলছিল পুতুল পুতুল খেলা ! মন্দ হলেও মন্দ নয় একেবারেই ! এখন পুতুল খেলবে কেবল রাজা-রানীরা, মাঝে মধ্যে ডলার দেশের মানুষগুলো এসে চেলে দেবে দাবার দাবার গুঁটি ! পুতুলগুটি চলবে , দারুন !