কেবলি শিখেছে সে বিনয়, অবতার বিনয়ের
ভদ্রতা , নম্রতা সারা অবয়ব জুড়ে , কাঠিন্য
স্পর্শবিহীন ! ভাবনাগুলো কুঁড়ে কুঁড়ে খায় , ভাল হবার
সবার কাছে ভাল থাকার গোপন সন্ধিতে ! জীবনের টানপোড়ন
সীমাহীন যন্ত্রণা বুকে , মুখে তবু সুখী সুখী ভাব যেন
তুলতুলে মখমল গদী ! কেবল তাঁরই সকাশে !


রাজ্যগুলো যখন কাঁপে বিনাশে, ভূমিকম্প চারধারে
অজুত উজির নাজির মিত্র কাঁদে প্রানভয়ে , বিনাশী
চক্রে ঘোরে ঘড়ির পেন্ডুলাম , ভুবনডাঙার মাঠে নীড় খোঁজে
পরযায়ী মেঘের দল , সে তখন জড়িয়ে রাখে নিজেকে
স্তব্ধ রাত্রির খোলসে , অবিনয় চিহ্ন গুলো লুকিয়ে !


নিঃশেষিত সে ফেরি করে বিনয় , কেউ মনে রাখে না
নিলামবালা  ফেরিওয়ালাকে , এক আনায় হাজার গণ্ডা হেরে যায় ,
মাথা কুটে মরে আগ্রাসী জল ধারার
মত্ত  স্রোতে ! একথা কি জেনেছিল সে , কিংবা বুঝেছিল
দুঃখ এবং মৃত্যু কিছুই পরোয়া নেই সাধাসিধে সে তারের ---
তাই জন্ম নেয়  সে একাকি , ক্ষয় হয় একাকি , হাজারো
অবজ্ঞা বুকে !