আহা, হতেম যদি চড়ুই পাখি , রাত দুপুরে মাতামাতি
খুন্তি কড়াই এসব ফেলে , কেবলই গান গলা জুড়ে
পাখায় ঠোঁটে ঝিলকি কেটে , হতেম সবার ফাল্গুনী মেয়ে।


বাড়ীর কাছেই আরশি নগর, পরশি পাশে বইত নহর
তোমার দেয়া দুঃখগুলো রইতো জমা কাঠের কুলো
গুন গুন গুন হাসি গানে গাছের পাতা উঠতো নেচে ।


আমি তখন নদীর জলে পা ডুবিয়ে মাছের পিঠে
যখন তখন মণ্ডা মিঠাই , রান্না বাজার বালাই তো নেই
যা হোক সেসব ভুলেই গেছি , পাখি হয়ে  কিইবা ক্ষতি ?


চড়ুই পাখির ঘর বাড়ী নেই , তাতেই বাকি  দুঃখ তো নেই
চড়ুই পাখি কেবল নাচে , ভরিয়ে পাতাল মাতাল ঘাসে
তাতেই  খুশী  , শত্রু তো নেই, যখন তখন হাতকড়া নেই ।


চড়ুই পাখি, চড়ুই পাখি, আমায় নেবে নাওনা তুমি
তোমার মত বন্ধু পেলে , সোনার খাঁচার বাঁধন খুলে
উড়াল দেব নীল আকাশে ঘুড়ির সুতোর জালটা কেটে !