বংশের পতন!


যুগ যুগ ধরে সৎকর্মে সু-আচারে
গড়ে ওঠে বংশের সুনাম,
বেশি নয় দু' একজন বংশে থাকা মোনাফেক
সহজে ডেকে আনে দুর্নাম।
বংশ মর্যাদা রক্ষা তরে
সকলের ঐক্যের দরকার,
নিজেদের ছোটখাটো ভুলত্রুটি
শিখতে হয় ভুলে যাওয়ার আচার।
কেউ কেউ নিজ বলয় তৈরিতে
তৎপর বংশ মাঝে  বিভাজন,
একই কথা ভিন্ন ভিন্ন জন সমীপে
করে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন।
আহাম্মক বুঝেনা কখনো
কেউ না কেউ তার ষড়যন্ত্র জানে সতত,
এরূপ দ্বি-মুখী আচার-আচরণ
নির্বিঘ্নে চালায়  বাধাহীন অবিরত।
নানাভাবে পাতে ফাঁদ ঘষেটি রূপে
কেউ মুনাফিকির জাল বুনে,
হিরো হওয়ার অপচেষ্টায়
ষড়যন্ত্রে ধাবিত বংশ পতনে!
বংশ মাঝে এরা দু'মুখো সাপ
আশীবিষ মুখে চুম্বন খায়,
নিজস্বার্থ সিদ্ধি তরে
বিপরীতে ব্যাঙের মুখেও চুম্বন দেয়।
তিলে তিলে গড়ে ওঠে খ্যাতি
ললিত কাজে বংশের উত্থান,
নিজ নাম বিস্তারে অপ-তৎপরতায়
সহজে আনে খ্যাতি চূড়ে ওঠা বংশের পতন!
শত্রুর সাথে  গলাগলি  ধরে
ক্ষতিকর শত্রুকে করে নেয়া আপন,
অমঙ্গলকারী সুযোগ সন্ধানী  কারণে
বংশে ঘুণ ধরে, সৃষ্ট হয় ভাঙ্গন।
খ্যাতির গিরিচূড়ে নাম লেখানো
শুনেছি এক বংশের উত্থান কাহিনী ;
অভিজ্ঞতার আলোকে দেখি কয়েক প্রজন্ম পরে
ধূলিতে পিষ্ট আজ অতীতের সে বাণী।
খ্যাতিমান এক পন্ডিত রূপকথার কবি
টেনে ওঠালেন বংশ সম্মানের সোপানে,
কিছু কুলাঙ্গারের হীন কাজে কয়েক প্রজন্ম পরে মুখোমুখি আজ সে বংশ পতনে!
শতাধিক বর্ষ পরে মাটির ঘরে বসে
কীভাবে দেখছেন তার বংশের বিপর্যয়!
হায়রে অভাগার দল! এত অধঃপতন!
মুনাফিকি করো  নিজ বংশের যবনিকায়।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে সূরা নিসা'য়
এক শত পয়তাল্লিশ আয়াতে আল্লাহ বলেন,
'নিশ্চয়ই মুনাফিকগণ সবচেয়ে
জাহান্নামের নিম্নস্তরে করবে অবস্থান। '


  রচনাঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।