অশোক কিংশুক শিমুলের রক্তাম্বর
প্রকৃতিলোকে আবির্ভাব এক ভয়াল তাপসের;
তৃষ্ণাদীর্ণ হয় মাঠ-ঘাট প্রান্তর
সর্বত্রই একটা রসহীন পান্ডুর বিবর্ণতা।
বসন্তের উজ্জল আলোধারায় উদ্ভাসিত দিগন্ত
শ্যামলতায় নবরূপ সজ্জা নব কিশলয়ের
কাল বৈশাখীর বর্ষণে শুষ্ক শতদীর্ণ মৃত্তিকা
মুছে যায় ধূলি ধূসর ধরণীর রুক্ষতা।
ডালি ভরে চম্পক গন্ধরাজ রজনীগন্ধা
মধুপ গুঞ্জরণে বিমোহিত অরণ্য;
উদ্যম বাদল হাওয়ার মাতন
শাখায় শাখায় পত্র-পল্লবে ধন্য।
অাপার শান্তি দেয় মধু বর্ষণ
ফলের রসে কুটীরে আনে প্লাবন
বাঙালির রসনাকে সরস করে
তৃপ্তিতে জেগে ওঠে নব বর্ষের স্পন্দন।
দোকানে দোকানে শুভ হালখাতায় মত্ত
জামাই ষষ্ঠীর উৎসব অাড়ম্বরের নেই অন্ত,
পরিপূর্ণ বৈশাখী মেলা প্রচন্ড হৈ-হুল্লড়ে
জারি সারি কবিগান আর বাউলের একতারা;
চারদিক মেতে ওঠে সুরের ঝর্ণাধারা।
বর্ষ বরণে এ এক সাগ্রহ প্রশান্তি
বাংলার বুক ভরা দিগন্ত-
উৎসারিত সুমধুর লহরীতে
ভুলি বৈশাখীর পুঞ্জীভূত বিক্ষোভ-তাথৈ নৃত্যে।


----অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন
     রচনাঃ১৪ এপ্রিল,২০১৮।১ বৈশাখ,১৪২৫ বঙ্গাব্দ।