ফিরে দেখা বন্ধুত্ব
(পর্ব—১)


রূঢ় বাস্তবতায় আজ যোজন যোজন দূরে
ভাবা হয়নি কখনো, এ রীতিই চিরন্তন,
দেখা হয়েছিল দু'জনায়  ব্রজমোহন কুঞ্জে
সতীর্থ হয়ে চলেছিলো সাম্মানিক পঠন-পাঠন।
ছাত্র নিবাসে একই কক্ষে দু'জনার ঠাঁই
পাঠে কারো কমতি নেই সদা রই মগন,
দু'টি প্রাণের দু'টি হাত ধরে চলা সবখানে
একবারও টুটেনি, কত দৃঢ় সে বাঁধন।
কখনো শূন্য রয় কোনো শয্যা
গাঢ় বন্ধুত্বে দু'টি শয্যার ছিলো নিষ্প্রয়োজন!
হরষে উচ্ছলতায় জড়াজড়ি দু'জনে
কৌতুক ছলে একই শয্যায় শয়ন।
সম্পর্কের ট্রেনের বগি কোথা টেনে নেয়—
ভেবে দেখার সময় পাইনি তখন,
অজস্র বন্ধু মেলে সেই জীবনে
কারো কারো নিকট হই দু'জনে ঈর্ষার  কারণ।
একে অন্যের অসুস্থতা নিরাময়ে অভিভাবক বনা
ডাক্তার ওষুধ-পথ্য জোগাড় সেবা চেষ্টা প্রাণপণ,
অন্য সব বন্ধুদের সহায়তার কমতি নাহি রয়
পাশে দাঁড়ায় সবে ভালো-মন্দে হলে প্রয়োজন।
যত সব বিপত্তি—একসাথে লড়ি
সুখে-দুখে সাথী হয়ে ব্যথায় বেদন যখন যেমন,
কোনটা কার ব্যবহার্য সব উলট-পালট
পরিধানে উন্মুক্ত যত বসন ভূষণ।
বরিশালের অলিগলি কীর্তনখোলা তীর
উদীচী, মহাত্মা অস্বিনীর টাউন হল অঙ্গন
হাসপাতাল সড়কের যত  কংক্রিট
সখ্য গড়ি এদের সনে অজান্তে দু'জন।


রচনাঃ০৬ জুলাই,২০২৩।
(চলবে)