হেথায় তোমার পদ চিহ্ন
(গীতিকবিতা)
[প্রাণাম কবিগুরু তোমায়,ক্ষমা করো আমায়]


হেথায় তোমার পদ চিহ্ন রয় সব বাটে,
তুমি নাই বা রলে...
তুমি নাই বা রলে এই বসুধার মাঠে-ঘাটে গো।।


তোমার দেয়া গুরু  ঋণে ঋণে
বইছি দায়ের বোঝা প্রতিদিনে গো—
কৃতার্থের অঞ্জলি দেবো চরণে
খুঁজে বেড়াই সদা সব হাটে,
রয়েছো তুমি গানে গানে সব অন্তরে
কাব্য মালা কথা শিল্পে দাও ভরে
বিশ্ব কবি আবার এসো এই নীড়ে।।


এখোনো জমেনি ধুলো তানপুরাটার তার গুলোয়
লতাপাতা.....
লতাপাতা ওঠতে সাহস হয়নি ঘরের দ্বার গুলোয়
আাহা!এখোনো জমেনি ধুলো তানপুরাটার তার গুলোয়
পুষ্প বাগে দলে দলে শিষ্য সজ্জা
ভারি সুন্দর
জ্ঞান পিপাসুরা ঘিরছে দিঘির ধারগুলোয়
নিত্য তোমার আশে আছে বসে
নিদহীন নয়নে চেয়ে সেই আকাশে
বিশ্বজুড়ে খুঁজে সবে নব জন্ম আশে।।


এখনো সেইভাবে বাঁজছে বাঁশি সেই নাটে
কাটছে,দিন কাটছে.....
কাটছে গো দিন আজও সেই মত দিন কাটে,
আহা!এখনো সেইভাবে বাঁজছে বাঁশি সেই নাটে
ঘাটে ঘাটে অধুনা তরী
সোনার ধানে ওঠছে ভরি
গোয়াল ঘরে ফার্মের গোরু
কলের লাঙ্গল চলে সেই মাঠে
রয়েছো তুমি গানে গানে সব অন্তরে
কাব্য মালা কথা শিল্পে দাও ভরে
বিশ্ব কবি আবার এসো এই নীড়ে।।


আজি সবাই বলে সব প্রভাতে আছো তুমি,
সকল খেলায়....
সকল খেলায় করছো খেলা সেই তুমি
আহা!কেউ বলে না গো এই প্রভাতে নেই তুমি।
কবিগুরু বলে ডাকছে তোমায়
আছো তুমি সব মানব হৃদয়
ধরার বুকে চিরকালে এসো তুমি।
নিত্য তোমার আশে আছে বসে
নিদহীন নয়নে চেয়ে সেই আকাশে
বিশ্বজুড়ে খুঁজে সবে নব জন্ম আশে।।


  রচনাঃ ০৮ মে,২০২৪।২৫ বৈশাখ, ১৪৩১
(কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণে।)