লোভাতুর লালা


ভুমে ফেলা মৌলবাদীর থু থু
জিব দিয়ে চেটে খায়,
যেন অমৃত;আহা! কী মজা!
পরিমরি প্রতিযোগিতায় মেতে
আগে নাগাল পাবার মানসে,
শঙ্কা,যদি  না  পায় শেষে!
গোল্লায় যাক্ যত আদর্শ,
এতে কি অমৃত স্বাদ জাগে?
ধুয়ে ধুয়ে জল খেলে উদর না ভরে,
চেতনা কিসে?উদরপূর্তি আগে।
যত পাও তত খাও—আদর্শ তাই বলে!
দলের মোড়ল বলেই এই সুযোগ
কলকাঠি নাড়ানোর ক্ষমতা কারো নেই
নইলে থু থু'র সন্ধান মিলতো!
মাঝে মাঝে বিশ্বস্ততার পরীক্ষায়
বেশভূষাও পাল্টানো ব্যাপার নয়—
হাতছাড়া না হয় কোনোমতে,
ওদের আনুকূল্য পাওয়া ভীষণ দরকার।
এখন আর টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার সময় কই!
অাদর্শ চুলোয় যাক্,দরকারে অন্য কোনো খানে!
গাছেরও নেয়া তলাও কুড়ানো
তাই অবিরত প্রাণপণ চেষ্টা
দলের সাইনবোর্ড ধরতে হবে—উচ্ছিষ্ট খেতে।
পা চাটা কুকুর বলুক লোকে
তাতে কী বা আসে,এটাই তো পেশা!
চেতনার মূলে পদাঘাত করে
ঢের সুবিধা পেয়ে আসা,লজ্জা কিসে?
জিব থেকে টস টস করে
ফোটা ফোটা লোভাতুর লালা পড়ে
নাগিনী ফোঁস ফোঁস করে ফণা তুলে
লিকলিকে জিব বের করে দংশন তরে।
মীর জাফর আর ঘষেটির প্রেতাত্মারা
এখনও সক্রিয় হননে,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দলিত মথিত
কতিপয় কুলাঙ্গারের পদাঘাতে,
শহিদ আত্মা আর নির্জাতিতা মায়েরা
অভিশাপ দিচ্ছে নিয়ত;
কে দেখে তাঁদের  বিষের ব্যথা!
মৌলবাদীর পকেটে  চেতনার বহ্নিশিখা
নিভু নিভু করে এক্ষণে।
কী করে সহ্য করো পিতা!
টুঙ্গিপাড়া থেকে আর একবার বজ্রকণ্ঠ হাঁকো।


  রচনাঃ২৮ মার্চ,২০২৩