সাক্ষী  সেই বিমান বন্দর


বেলজিয়ামের বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধু কন্যা
পিতৃ মৃত্যু শোকে কাতর!
পাসপোর্ট দরশনে ভ্রূ কুঁচকে প্রশ্নবানে অফিসার
তুমি কি বাঙ্গালি?নাগরিক বাংলাদেশের!
শির নেড়ে সম্মতি—বহে অশ্রু বন্যা।


"কেমন অকৃতজ্ঞ জাতি তোমরা?"
যাঁর নিজ জীবন তুচ্ছতার দৃষ্টান্তে ভরা
এনে দিলো মুক্তি,কাটালো যে পরাধীনতার খরা,
সেই মহান স্থপতির নির্মম হন্তা নিজেরা!
নজীর বিহীন ইতিহাস তোমাদের দ্বারা গড়া।


আত্মজা জাতির পিতার ক্ষণিক নিথর!
সংবরণ করতে নাহি পারে আর—
আকাশ বাতাস কাঁদিয়ে করেন চিৎকার,
পাশে নেই কেউ সান্তনা বাণী শুনা বার।


আর্তনাদ এক অসহায় সম্বলহীন নারীর,
ক্ষণকাল ভুবন কাঁপে থর্ থর্
যেন মহা প্রলয় ঘটে ধরিত্রীর,
নীরব সাক্ষী রয় সেই বিমান বন্দর।


জনক দূহিতার জীবন হয় যাযাবরে;
এ দেশ সে দেশ ছুটে চলা বারে বারে,
ক্লান্ত অবসন্ন আর নাহি পারে!
ঠাঁই হয় কোলকাতার এক টিনের কুটিরে।


স্বদেশ লুণ্ঠনে রাজাকার আর দোসর;
আয়েশে যাপিত জীবন গোলাম আজমের।
বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাসিত অপমানে অনাদরে,
আর অযত্ন অবহেলায় নিভৃত পল্লী প্রান্তরে
জাতির পিতা নিদ্রিত অন্ধকার কুঠরে!
ধিক্ অকৃতজ্ঞ স্বার্থন্বেষী কুলাঙ্গার গোষ্ঠীরে।


  
    রচনাঃ১৩/০৮/২০২১
    (বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে )