[আসরের পরম শ্রদ্ধেয় কবি কবীর হুমায়ুন মহাশয়কে  এই লিখা্টি উৎসর্গ করলাম]


সুরের পাখি, মেলেছে আঁখি,
ধরেছে সুরে প্রাণের গান।
বাংলা তোমার,বাংলা আমার,
যেন এক মন,এক প্রাণ।


নির্মল আকাশে,সুখের বাতাসে,
মেঘমালাদের আনাগোনা।
এপারের ছন্দ,ওপারের আনন্দ,
যেন বহুদিনের,অনেক চেনা।


সুখের মাটিতে,হৃদয়ের বাটিতে,
রয়েছে কাঁটা তারের বেড়া।
মোদের একই আশা,একই ভাষা,
একই বাঁধনে,রয়েছে হৃদয় গড়া।


পদ্মার তীরে,গঙ্গার চরে,
মিশে আছে বাঙালীর মন।
জলের তরঙ্গে, মাটির অঙ্গে,
শত বাঙালী,হয়েছে প্রিয়জন।


কবিতা আসে,মেঘে ভেসে ভেসে,
ওপার বাংলার হৃদয় হতে।
দোয়েল,কোয়েল সুর তোলে আজ,
দুই বাংলার পথে পথে।


প্রতি বসন্তে, ঐ নীল দিগন্তে,
উড়ে চলে,সুখ মেঘেদের ভেলা।
শূন্য গগনে,নিয়ে প্রিয়জনে-
বসে,দুই বাংলার মিলন মেলা।


পল্লীর ধারে, মধুর সুরে,
আজও শুনি হাসন রাজার গান।
দুই বাংলার পথে ঘাটে-
বাজে অচেনা পাখির কলতান।


ভাটিয়ালীর সু্রে,নদীর তীরে-
ডাক দিয়েছে মনের মাঝি-
দুই বাংলার একই সুর,
মিছে কেন বসে ভাবি আজি?


মুখের ভাষা, মুখের খাবার-
সবই যে জন্ম হতে একই।
দুই বাংলার একই হৃদয়-
আজও চেয়ে চেয়ে দেখি।


প্রতিজনে,প্রতিমনে ক্ষণে ক্ষণে,
জাগে চিরকাল প্রাণে স্পন্দন।
দুই বাংলার একটি হৃদয়-
এ যেন এক স্বপ্নের অদৃশ্য বন্ধন।


........................................................................।
২৫শে দিসেম্বর,২০১৭,সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার(পঃব,ভারত) ভরতপুর(সালার) ব্লকের জজানে “বঙ্গযোগ” পত্রিকার প্রকাশ ও কবি-সাহিত্যিকদের অড্ডা থেকে ফিরে এসে লিখা।