অজয় নদীর কথা
        মহঃ সানারুল মোমিন


বয়ে চলেছে মহানন্দে অজয় নদীর জল।
দিবারাতে শুনি পাখপাখালীর কোলাহল।
কত গান? কত কবিতা লিখে চিরকাল।
অজানা স্বপ্ন-ছায়া আঁকে,রুপালী বিকাল।


গান গেয়ে,দাড় বেয়ে নৌ চলে বাঁকে বাঁকে।
অজানা পাখির দল- পাড়ি দেয় ঝাঁকে ঝাঁকে।
হাজার কুসুম সাজে তরু লতার শাঁখে শাঁখে।
শত নানান ফল সাজে গাছে থোকে থোকে।


নব প্রভাতে,জলের সাথে,আলোর ঝিকিমিকি।
সারা দিন শুনি শালিক গাং চিলের কিচিমিচি।
মরাণ চলে মনের সুখে মরালীর পিছে পিছে।
হরেক মাছের দল, চলে জলের নিচে নিচে।


বালুচরে,স্বপ্ন ঘিরে-বসে মানবের মিলন মেলা।
কতনা কেনা বেচা-চলে সারা  বিকাল বেলা।
নৌকা বেয়ে আসে মাঝি গায় সুখে মনের গান।
হাজার রুপে সাজে- জুড়ায় অজয়ের প্রাণ।


সাজের বেলা,করে খেলা রাখালের বাঁশি।
রুপোর ঝলকে জ্যোৎস্না নামে রাশি রাশি।
সাধের ধেনু,মেখে গায়ে রেণু, গৃহে ফিরে।
রাতের শেয়াল ডেকে ওঠে অজয়ের তীরে।


শান্তি নামে,অজয় ধামে, নামে চাঁদ তারা।
মনের সুখে বয়ে চলে অজয়ের বারিধারা।
এলেন কবি মুকুন্দ,লক্ষ্মণ,জয়দেব,নজরুল।
আসবে হাজার কবি, ফুটবে নানান ফুল।


অজয় কথা,হৃদয় গাঁথা, করছি কিনা ভুল।
দেখিনি যারে,রেখেছি অন্তরে আমি সানারুল।
অজয় রবে, অজয় হবে আগামীর পূণ্যধাম।
মনের খাতায় ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় এই নাম।
...............................................................।