সমাজের পাঁজরে


গাঢ় ঘন অন্ধকার,আজ মনে হয় অনেকটা বেশি।
চন্দ্র,সূর্য,তারারা ক্লান্ত।
পৃথিবীর আবর্তনের পথ আজ মসৃন।যান জঞ্জাট বিহীন।
মনে হয় দ্রুত গতিতে আবর্তন করছে।
মনুষ্যত্বে গভীর ফাটল-দিশেহারা।
জীবনের রাস্তার বেহাল অবস্থা-ক্ষত বিক্ষত,
যেন দুর্ঘটনা থেকে সদ্য আনা মানব শরীর।


লতানো ন্যায় ব্যবস্থা,বহুবার দাঁড়ানোর চেষ্টা- ব্যর্থ।
আইনেরও যান জট।
পেটে ক্ষিদের যন্ত্রণা, খাবারের হাহাকার,
খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে মানুষের জন্মহার বেশি।


মস্তিষ্কে শূন্যতা,তবুও বিদেশী ভাষায় দক্ষতা দেখানোর অপূর্ব কৌশল।
“নেশা” জনপ্রিয়তার শীর্ষে।দিকে দিকে শত শত শাখা।
সৎ ভাবনায় পলির স্তর। আটকে চিন্তা।
কৃত্রিমের প্রতি অধিক আগ্রহ। আসলের প্রতি অনিহা।


রাস্তায় বিকট শব্দ-
চলন্ত যানের চাকায় পৃষ্ট কোমল শরীর।
ছিন্ন ভিন্ন টুকরো টুকরো অঙ্গ ছিটকে পড়ে-
রাস্তার পাশে বসে থাকা অসহায় অন্ধ ক্ষুধার্ত ভিখেরির জীর্ণ থালায়।
শরীরের অর্ধেক বন্ধক রেখেছি চিকিৎসকদের হাতে।
বাকিটা শুধু অবহেলায়।


অনেক আগে শুকিয়েছে কুয়ো নালার জল-এখন রাস্তার জল কল।
যেটুকু পাই তাতেই আর্সেনিক,নিশ্চিত মৃত্যুর ফল।
স্বচ্ছ পবিত্র, পরিচ্ছন্ন নয়নের জল-
একটু গড়িয়ে নিমেষে হয় অদৃশ্য-
চলে অন্তকাল।
..........................................