গত ৩১/০১/২০১৮ আমার নানা মৃত্যু বরণ করেন। সে একজন ভাল শিক্ষক, লেখকসহ বহু গুনের অধিকারী এবং ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেহ খাটের উপর পরে থাকতে দেখে আমার ভিষণ কান্না পেয়েছে! এবং আমার মনে হয়েছে সত্যি পৃথিবীটা মিথ্যে আশ্বাস ছাড়া কিছুই না। এখান থেকে ঈমান আমল না নিতে পারলে তার জন্য নিশ্চয়ই খারাপ সংবাদ ও দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে আখেরাতে।  তাঁর মৃত্যু দেহ দেখে আমি আমার মনের উপলব্ধি গুলো প্রকাশ করেছি। সবাই আমার নানার জন্য দোয়া করবেন।


নিঃসঙ্গ মৃত্যু                       ========================
মৃত্যু ডাকে সকল জীব একে একে চলে যায়,
এ ইহলোকে কেহ চিরকাল বাচিবার নয়।
যখন দেহ থেকে নিয়ে যাবে প্রাণ পাখিটা,
মিনতি আমার প্রভু দিও না আমায় কোন ব্যথা।
বুঝে নিও মনের না বলা কথা,
বিধাতার নিষেধ, বলার নাই কোন ক্ষমতা।
শেষ জীবনে এটাই শেষ হবে চাওয়া,
মরণ এলেই শেষ হয়ে যাবে সব পাওয়া।
মর্ত্যলোকে সব কিছুই মনে হচ্ছে মিথ্যে আশ্বাস,
যতই ভোগ-বিলাসিতা নিয়ে করছে বসবাস।
মৃত্যু ক্রমশ জীবন, মৃত্যু ক্রমশ সময়ের কারণ।
প্রতিটি প্রাণীর মরণ নির্দিধায় করতে হয় বরণ।


যে মানব জাতির কাছে এত মনোরম এ ধরাতল,
মানুষের কাছে মৃত্যুর কারণে এত সুন্দর ভূতল।
মৃত্যু মানুষের জন্যে কেহ করে না অপেক্ষা,
জীবিতদের জন্য আমাদের সকল প্রতীক্ষা।
মৃত্যুর পরের জীবন হবে অনন্তকাল,
পুণ্যকর্মে ভালো কাটবে পরকাল।
জন্ম-মৃত্যু হয় সকলের জন্য নিঃসঙ্গ ঘটনা,
সব কিছুই জানেন আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা।


মৃত্য অচেনা ভারি কণ্ঠ ,খুব কাছের আলাপ,
স্বপ্নের শবের উপর, একটি কালো গোলাপ।
মৃত্য আকাশ ভেঙ্গে নেমে আসা বৃষ্টি ,
ভাসিয়ে নেওয়া স্থবির জীবদেহ সৃষ্টি।
দৃষ্টি-শূন্য চোখে পুনরায় অদৃষ্টকে খোঁজ়া,
নিঃশব্দ ছুটির ঘন্টার পর একাকি পথে হাটা।
মৃত্যুকে আমি দেখছি অদৃশ্যে ঘুরছে মৃত্যু-ঘুড়িটা,
তার সুতো বেয়ে নেমে আসে আদিম বিষণ্ণতা,
জন্ম-মৃত্যু ক্রমশ মুক্তি, ক্রমশ জীবন পায়,
আল্লাহ্'র স্মরণে চিত্ত প্রশান্তি হয়।
মৃত্যুর জন্যে সবসময় প্রস্তুত থাকিবে যিনি,
এ ধরণীতে পূর্ণ ঈমান নিয়ে বাঁচিবে তিনি।