নদী তোমার জন্ম ভূধরেতে,
শৃঙ্গগাত্র ক্ষয়প্রাপ্ত হয় স্রোতস্বিনীতে।
মন্দাকিনী থাকুক তোমার চির যৌবন,
দু‍‍‍‌‌‌‌‌‌কূল ভাঙ্গার করিও না অভিযান।
প্রবাহনী যখন যৌবন পায়,
শৃঙ্গধরের কথাও ভুলে যায়।
জীবন-যৌবন বিসর্জন দিয়ে,
মুমূর্ষু অবস্থায় স্রোত বহে।


জল থই থই করে সমূদ্রকান্তা বয়ে আপন কূলায়,
জলরাশি দুইকূল ব্যাপিয়া নিজেকে লুটায়।
গিরি শৈবালিনী এঁকে বেঁকে সমুদ্রে মিলায়,
সাগরের জল ডাকে আয় কাছে আয়।


তোমার সাথে করতে চাই সখ্যতা,
কর না আমার সাথে বৈরতা।
স্নান করিতে চাই ভরা সরিৎ জলে,
দাঁড়িয়েছিলাম মায়াবিনীর কূলে।
যখন আমি তারুণ্য আসা প্রবাহিণী তীরে,
তটিনী ডাকছে আমায় অতি আপন করে।
চলে আয় আমার বুকে, স্নীগ্ধ আয়েশ দেব,
শীতলমাখা জলের আরামে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
পারলামনা থাকতে যৌবনভরা সমুদ্রকান্তার মায়া ডাকে,
এমন সুযোগ পাবনাকো হাজার কিংবা লাখে।
এবার তরঙ্গিণী ভরা যৌবনের স্রোতের বুকে,
শীতল ছোঁয়া লাগলো শরীরের প্রতি ধাপে ।
তোমার ভরা যৌবন পছন্দ আমার সন্দেহ নেই তাতে,
স্রোতে তোমার ভাসিয়ে নিলে পরিবে পরিতাপে।
ধ্বংস হতে পারে না তোমার সভ্যতা,
তোমার আঁচলে জড়িয়ে দেখাও তোমার মমতা।