যেখানে আমিহীনা বেঁচে আছ তুমি অভিমান বুঝে ;
সেখানে সেইদিন খুব দূর নয়, ভেবে আমায় রোজে রোজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
চোখ-বুক-মন জুড়ানো
বিস্ময়ে অসীম চমক জাগানো;
বিশ্ব প্রেম পাগলিনী সেজে-
চোখের জলে বুকের তলা ভিজে-
যাবে নিত্যদিন আমায় পূঁজে,
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
..................................................
অন্ধকারে ভীষণ দুঃখে খুঁজবে আমার লাশের চিঠি,
হিমালয়-কালপুরুষে নাচবে ভেঙ্গ দেহকটি।
খুঁজবে আমার লাশের চিঠি।
জ্বলে পুরে ভাসবে, যেন পেয়ে চরস,
অমনি আসবে চোখে রূপোর পরশ।
সবুজ-সোনালী স্বপনে রাঙ্গিবে মন,
আবেগের বশে ধরবে যখন-
হাত বাড়াবে অতি সহজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
চলতে পথে সেই স্মৃতিগুলো কড়া নেড়ে কাঁদবে-
অতীত জ্বালা আবার কাঁটা সমাধিতে ঢাকবে।
স্মৃতিগুলো কড়া নেড়ে কাঁদবে।
ক্লান্তিতে হয়ে উঠবে মন ভারি,
ভাববে তুমি বুঝি আজ ফেরারী।
সকাল-দুপুর-বিকাল মাড়িয়ে
কাঁদবে তুমি শিরা-উপশিরা চিরিয়ে;
বসবেনা মন কোন কাজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
কোন একদিন ফুলের সুরভিতে ভরবে তোমার মন;
সৌরভ বিলাতে গিয়ে ঝড়বে জল, বেয়ে দু'নয়ন,
কাঁপবে তোমার দেহমন।
ব্যাথায় ঢাকা সমাধি মোর করবে যখন স্মরণ,
জ্বালা যান্ত্রণা এমনিতেই করবে বরণ।
অভিযোগের বিনাশ তোমার,
চরণতলে এসে লুটায়িবে আমার।
ছলছাড়া সরলিনী সেজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
বন্ধু মহলে থাকবে তুমি বিজয় লক্ষী রমণী,
থাকবে না পাশে এই জব্দকারী, নিববে সকল কাঁপুনি-
থাকবে তুমি লক্ষী রমণী।
রইবে সাথে সাথী-স্বজন,
বইবে রাতে সুখের বন্ধন।
তাহার বাহুর ছোঁয়াতে
মজবে এসে আমাতে।
বিষ-ব্যাথায়ে রবে সেজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
তোমার হৃদয় গগনে ছুটবে সুখের তরী,
সেই তরীতে থাকবে বুঝি সাথে দিশার খড়ি,
ছুটবে সুখের তরী।
স্মরিবে কোন এক প্রভাতে-
চলেছিলেম একসাথে,
চোখ ছিল মন রাঙাবার,
সব রঙ হল আধার।
ঐ পথে ফেলবে পা - বিষের লেজ,
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
আবার যেদিন হিমেল সুখ বইবে তোমার গায়;
সেদিন থাকবেনা আর সে, যেজন পরাত বেড়ী তোমার পায়।
সুখ বইবে তোমার গায়।
ভাসবে চোখে অতীত স্মৃতি,
কোমল সূরে জানাতে আমায় প্রীতি।
মন লুকিয়ে আর রইত কোথায়?
সেই কথা-তো ঐ যন্ত্রণায়-
ব্যাথা হয়ে ভাসবে সকল কাজে,
কাঁদবে তুমি আমায় খুজে।
...................................................
কোন একদিন ভুলবে আমায় , পেয়ে নতুন সাথী,
তাহার তরে সুখ ঢালতে গিয়ে অন্ধ হবে দিনে-রাতি,
পেয়ে নতুন সাথী।
ভাববে তখন,- কোন সে প্রভাতে,
এক আঙ্গিনায় ছিলেম সাথে।
অন্ধ আবেগ ছিল তখন,
বন্ধ সব আশা এখন।
বুকের জ্বালা চোখে মুছে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুজেঁ।
...................................................
সব স্বজনের কপাট যেদিন হবে বন্ধ,-
কন্ঠে তোমার বিষ-জ্বালা নিয়া হবে হয়তো অন্ধ,
সব সখার দ্বর হবে যবে বন্ধ।
রক্ত ঝড়া রাঙা বুক তোমার,
অচল ব্যাথা হানবে বার বার।
সুখ পূঁজারে না পেয়ে,
'মুক্তি' দেবীরে খুঁজতে গিয়ে-
মরণ সইবে মুখ বুজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
আবার বইবে জোয়ার ফুলিবে- দোলিবে তরঙ্গ,
গগন সীমায় তাঁরায় তাঁরায় ফুটিবে তোমার বিহঙ্গ,-
ফুলিবে- দোলিবে তরঙ্গ।
দিন যাবে- মাস যাবে- যাবে বছর,
অতীত আর আসবেনা, রইবে হয়ে গহ্বর।
কাঁদবে পেতে কাঁচা বয়স- কাঁচা কখা,
বুঝবে আজ- ভুলে জীবন রচিছ অযথা।
আমায় তালাশ করবে প্রতি রোজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
টুটবে সকল আধার , ছিড়বে রক্ত হপার,
কাঁপবে সকল বন্ধন তাহার, জাগবে অপেক্ষার পাহাড়-
ছিড়বে রক্ত হপার।
গোপনে দেহে-মনে চাইবে সুখ,
বাধবে বুকে একটাই চাঁদ ঝরা মুখ।
অধৈর্য্যে চাইবে ছোঁয়া-
বুঝবে এযে মিথ্যা ধাওয়া,
বুকের তলা রইবে নয়ন জলে ভিজে,
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
...................................................
নেশার ঘোরে পাবক ছোড়ে করতে আমায় ক্লান্ত,-
হয়ত আজ সেই আঘাত-ই চাইবে তুমি হয়ে সর্বশান্ত,-
আমায় করতে যখন ক্লান্ত।
না বলিতেই নতুন আলাপনে,
আদর সোহাগ চাইবে গোপনে,
সকল বাধা ছিন্ন করে
ভাসাইতে চাইবে প্রেমের জোয়ারে।
অতীতের সব ভুল বুঝে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।
.................................................
যেখানে আমিহীনা বেঁচে আছ তুমি অভিমান বুঝে ;
সেখানে সেইদিন খুব দূর নয়, ভেবে আমায় রোজে রোজে-
কাঁদবে তুমি আমায় খুঁজে।