মনে পড়ে যায় সেই বিদ্যালয়ের প্রথম দিনে ,
গুরুমশাই আসিল ঠিক তার ঘন্টা গুনে ।
আলাপ সারিতে চাই ছাত্র ধরে ধরে ,
আমারও বেলা আসিল তার খানিক পরে ।
শীর্ষেন্দু ,জীবনে কি আছে স্বপ্ন তোমার ?
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কোনটাই তো ইচ্ছা নেই আমার।
চোখ কপালে তুলিয়া গুরুমশাই কহিল সে কী !
আচ্ছা তোমার কি ইচ্ছা তাই বল দেখি ?
ওই যে ভিখারি-ভবঘুরে পাগল ওদের সঙ্গী হবো ,
প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গা ঘুরতে পাবো ।
ওপাড়ার মুচি ছেলে-মেয়েদের সাথে বটের ডালে ঝুলবো,
আর খালে, বিলে মাছ ধরে কলমি শাক তুলব।
বাঁশির সুরে মাঠে মাঠে ছাগল,গরু চরাবো ,
তপ্ত রোদে অসহায় চাষীদের পাশে দাঁড়াবো ।
শরৎচন্দ্রের লালু হতে পারলে সেই হত বেশ ,
না কী মাঝি হয়ে গানে গানে পাড়ি দেবো নতুন দেশ ।
যদি হতে পারতাম কুমোরের ছেলে -
গঞ্জে গঞ্জে বেচবো হাড়ি গরুর গাড়ি ঠেলে।
ক্রোধান্বিত গুরুমশাই দেখি উঠিল রাগিয়া ,
কহিল এখনই বেরিয়ে যাও ক্লাস ছাড়িয়া।
কহিলাম গুরুমশাই আমি যে মানুষ হবো ,
সে কঠিন শিক্ষা কোথায় গেলে পাবো ?