ওহে মৃতপ্রায় স্রোতস্বিনী!
তোমার অসহায়ত্ব দেখে
আমার বড্ড কষ্ট হয়,
চোখে কাঁন্না পায়,
মনে জেগে ওঠে বহু স্মৃতি।
এক সময় তোমার বুক ভরা ছিল
অথৈ পানি,
স্রোতের বেগ ছিল দ্রুতগতি।
তোমার বুকে ছই বেঁধে বয়ে চলত
অগনিত তরী,
জারি,সারি,ভাটিয়ালি গেয়ে
গলা ফাটাত
অসংখ্য মাঝি।
যখন ছিল তোমার অদম্য শক্তি,
স্রোতের প্রবল গতি দিয়ে
ভেঙে দিয়েছ-
অসংখ্য ঘর-বাড়ি।
ধ্বসে দিয়েছ
তোমারই নিজস্ব দুটি পারি।
কালের স্রোত কেড়ে নিয়েছে
তোমার সেই অদম্য শক্তি,
বদ্ধ করে দিয়েছে
তোমার বুকের জলরাশি।
তুমি যে একটু প্রশান্তির
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলবে-
সে অবস্থাও নেই,
দম আটকিয়ে রেখেছে
অজস্র কস্তুরী।
তোমার মতই দম্ভ ও অহমিকায় লিপ্ত
এদেশে হাজারও নারী।
তারা নিজেদের ভাবে চির সুন্দরী,
অন্যকে বানাতে চায়
তাদের সুন্দরের পূজারি।
কিন্তু তারা জানে না,
কালের স্রোত কতটা নির্মম!
কতটা পাষাণী!
সময়ের ক্রমধারায়-
কালের স্রোত চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়
রুপ ও শক্তির  বাহাদুরি।
যেমন তুমি কখনও ভাবনি
করেছিলে বহুত বাহাদুরি।
কালের স্রোতে পরাজিত হয়ে-
আজ তোমার মুখে শুধুই
বেঁচে থাকার আহাজারি,
হে মৃতপ্রায় স্রোতস্বিনী!