আজ নয়, কাল নয়
অনেক বছর আগে ডেকেছিল আমায়,
এই শস্য-শ্যামলা ত্রিপুরা।
যখন আমি মহাশূন্যে ভাসছিলাম
ঠিক তখন।
শস্যের সোনালী আলোর ঝলকানিতে আমি
উন্মত্ত হয়েছিলাম ।
চোখে মুখে শুধু ভেসে ছিল
শ্যামলী ত্রিপুরার অপরূপ কারুকার্য।
সবুজের মাঝে বিরাজিত
উইয়ের ঢিবির মতো সারি সারি পর্বত
আমায় যেন বারংবার হাতছানি দিচ্ছে,
বলে, আয় - আমার দেশে আয়!
শ্যামলী ত্রিপুরার ঐ নদী-নালার বারিধারা
কল্লোলিত হয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে
আমায় অভিবাদন জানিয়েছে।
কি অদ্ভুত শ্যামলী ত্রিপুরা!
আমি যেন ওর মায়ায় পড়ে গেলাম।
উঁচু নিচু সেই চরাই উতরাই যেন আমার আগমনে
সমতলে পরিনত হয়েছে,
কতই না তাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসা।
এমন ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে কি
কোনো কালে ছেড়ে যাওয়া যায়?
তা আমার জানা নেই!
তাই তো ওর সবুজতার প্রতি বেড়ে গেলো
অগাধ ভালোবাসা।
এক নয়, দুই নয় অনেক বছর আগে
দুটি হস্ত টান টান করে বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিল
আয় রে, আমার কাছে আয়!
আমার কোলে আয়!
তাই তো --
আজ আমার সবকিছুই বিলীন করে দিলাম
শস্য-শ্যামলা ত্রিপুরার অতল সমুদ্রে।