আমরা যে মাটি,


          সকলেই আমাদের মাড়িয়ে
          চলে যায় দূর দূরান্তে।
অথচ তোমাদের পদধূলিতেই আমরা ধন‍্য।
তোমাদের পদচারনাতেই আমরা অনন্য।।
         সহস্রাধিক পদাঘাতকেও
         সহ‍্য করি হাসিমুখে।
কারণ আমরা যে তোমাদের ধারণকারী।
আমরাই যে তোমাদের রক্ষার অধিকারী।।
          আমরাই স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে
          আগলে রাখি সভ‍্যতাকে।
তবে মাঝে মাঝে হয়ে যায় একটু ব‍্যতিক্রম।
সভ‍্যতাকেই এই করুন বিপদ করতে হয় অতিক্রম।।
         আমাদের বক্ষেই গড়ে ওঠে
         হাজারো ইমারত,
তবুও তোমাদের সুখে আমরা সুখি।
তোমাদের দুঃখে আমরা দুঃখি।।


আমরা যে মাটি,
         আমাদের স্নেহেই পরিপূর্ণ হয়
         মাট-ঘাট শস্য শ‍্যামলা।
অথচ আমরাই তোমাদের প্রয়োজনে হই উপকারী।
আবার কখনো তোমাদের কাছে আমরা অপকারী।।
          আমাদেরকেও করে ফেলো
          কত হাজারো ভাগ।
তবুও আমরা মিলেমিশে থাকি একে অপরে।
তোমাদের পাশে থাকি বিপদে আপদে।
          আমাদের বক্ষ মাঝেই ঘটে চলে
          কত হাজারো যুদ্ধ।
অথচ নিস্তব্ধ হয়ে থাকি প্রতিনিয়ত।
যুদ্ধের হুংকারে ভয়ভীতি হই অবিরত।।
          আমরাও সদায় রঞ্জিত হই
          রাঙা রঙের আলোক ধারায়।
তবুও দেখে যাই দুই নিষ্পাপ চোখে।
ইতিহাস হয়ে বেঁচে থাকি রক্তিম রঙকে নিয়ে বক্ষে।।
           হাজার বছর ধরে
          চোখে মুখে লেপটে থাকে
          কত হাজারো পাপের চিহ্ন।
হয়তো কখনো হয়ে থাকি নিমজ্জিত।
আবার কখনোও সভ‍্যতার সম্মুখে হয়ে পড়ি লজ্জিত।।


আমরা যে মাটি,
বার বার শতাধিক বার বলি
আমরা যে মাটি,
          আমাদেরকেই ঈশ্বর দিয়েছে
          শান্ত থাকার শক্তি।
আমরাই যে হলাম  সহনশীল।
আমরাই যে হলাম ধৈর্য‍‍্যশীল।।