আকাশে মেঘের গর্জন -
অচিরেই মেঘ করে দিল সঞ্চিত জল বিসর্জন
যেন বহুকালের জমানো ঋণ
পুঞ্জিত হয়েছে থেকে থেকে বহু দিন
অবনীর কোলে নেমে এলো স্বস্তির পরশ
ক্ষুধাতুর তৃষ্ণার্ত জগতে ছেয়ে এলো সিক্ত বরষ
গ্রাম্য চপল বালিকার নূপুর নিক্কন ছন্দে
ছেয়ে গেলে বনে-বাদাড়ে ,মাঠে-ঘাটে-বাটে কি আনন্দে
যেন 'রূপালী মেয়ের' ঝনঝনা সম কঙ্কনে -
ঝরোঝরো ঝরে এলো ব্যাকুল কাতর হিয়ার অঙ্গনে
এমন সুক্ষণে দৃষ্টি এড়ানো যে দায়
এ যেন 'শিল্পের মাঝে শিল্প' ,পূর্ণ নৈপুণ্যতায় ! ।


এক স্বর্গময় কাননে হল রূপায়িত ধরা চমকে
গত হওয়া নীরস ক্ষণগুলো অনায়াসে গেল থমকে
স্পন্দিত হয় প্রাণ থেকে প্রাণ
চৌদিক হতে আসে ধেয়ে এক গহন বীণার গান ।


আড়ালে হঠাত বুঝে উঠি এ নয় ঝরছে কোন বরষার জল
ঝরছে যেন এ ব্যথিত প্রিয়ার বেদনার আঁখি বারি ছলছল
ঝরছে বাঁধাহীন অবিরত বেয়ে বেয়ে ছেয়ে ছেয়ে
বিরহের বাণী ,বেদনার বীণা গেয়ে গেয়ে ।


আকাশে মেঘের গর্জন -
এক দিকে ভাসে আনন্দঘন তান ,অন্যদিকে বেদনার তর্জন ।।