তোমাদের কেউ কি আমায় একটি বসন্তের খোঁজ এনে দিতে পারো?
যেনতেন একটি বসন্ত পেয়ে গেলেই, লিখে ফেলতাম একটি তোলপাড় কবিতা।
শিমুল পলাশের রক্তাভ কুঁড়িতে সাজিয়ে দিতাম বর্ণিল অমিত্রাক্ষর।
তোমাদের কেউ কি বলতে পারো বসন্তের খোঁজ?
যে দিন থেকে বসন্ত বিবাগী হলো পৌষের সাথে, সেই থেকে আমি আর কবিতা লিখি না। অথচ একটি তোলপাড় কবিতা লিখবো বলে উন্মুখ বসে আছি জিয়া উদ্যানের প্রাঙ্গনে , বসে আছি ফেরারী বসন্তের খুঁজে।
রমনার প্রতিটি গাছের নতুন পাতা, কোকিলের গান, এবং ফুলের রঙের নানা পরিবর্তন একটি কবিতা লিখব বলে।
অথচ আমি কবিতা লিখছে না তোমার অপেক্ষায়।
তুমি আসবে বলে, আমার বসন্ত এখনও দাঁড়িয়ে।
সংসদের কৃষ্ণচূড়ার ডালে দখিনা বাতাসে তোমার নাম ভাসে
আমি পথ চেয়ে বসে থাকি মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, চন্দ্রিমার দিকে বসন্ত আসবে বলে আমি তোমার অপেক্ষায় রঙিন স্বপ্ন জড়িয়ে।
তোমার অপেক্ষায় আজ আমি এলোমেলো
কতশত ক্লান্তি, কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রণার ভেতরে আজও তোমার প্রতীক্ষায়।
দমকা হাওয়ায় গাছের উঁচু শাখা-প্রশাখাগুলো যেমন প্রবলভাবে এদিক-ওদিক সঞ্চারিত হয়, তার চেয়েও আমার জীবন বেশি অশান্ত, এলোঝেলো-অগোছনো।
প্রবল ঝড়ের পর বৃক্ষরাজি, ঘরবাড়ি যেমন ইতস্তত তছনছ হয়ে পড়ে থাকে, তার চেয়েও বিক্ষিপ্ত আমার জীবন।
তবুও আমি তোমার অপেক্ষায় একটি বসন্তের কবিতা লিখব বলে।
তুমি কি সত্যিই আসবে?
নাকি এ সময় থেমে যাবে।
কাল্পনিক চরিত্রে লেখা একটি কবিতা,অনুগ্রহপূর্বক বাস্তব জীবনের সাথে মিলাতে যাবেন না। মোঃ রাকিবুল হাসান তেজগাঁও কলেজ ঢাকা।