সিড়িতে শুয়ে আছে একটি লাশ
এ লাশ জীবন্ত যে কোন বাঙ্গালী থেকে
অনেক শক্তিশালী-ক্ষমতাধর
যে কোন সময় এই লাশকে ঘিরে
ফুসে উঠতে পারে বাঙ্গালী ।
তাইতো লাশ পাহারা দিয়ে রেখেছে ট্যাংক
কামান,সশস্ত্র সৈনিক দিয়ে ।
সারা দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ ।
অথচ জীবনাবধি এমন পাহারার
প্রয়োজন মনে করতেন না তিনি ।
বলতেন – বাঙলা আমার আমি বাঙ্গালীর
কে কে ক্ষতি করবে আমার !
সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসঘাতকতা
ঘাতকের মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁঝরা বুক,
জামা ভিজে রক্ত,কতোগুলো সিঁড়ি বেয়ে জমাট !
সোনার বাঙলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে
আকাশের বিশালতায় সুদৃষ্টি উচিয়ে
উড়িয়েছিলেন শান্তির পায়রা,
সেই দৃষ্টি আজ শান্ত,নিথর !
তার পালা শান্তির পায়রাগুলি মেলে না পাখা
উড়ে না আকাশে , কোন সাড়া শব্দ নেই,
ওরা আজ শোক পালন করছে মনিবের ।
তার শাহাদাত আঙ্গুল এখনো যেন উচিয়ে আছে
যে আঙ্গুল নেড়ে ৭১ এর ৭ই মার্চে ঘোষনা দিয়েছেন
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
তোমার কথা রেখেছিলে পিতা তুমি;
তোমার নেতৃত্বে করেছি যুদ্ধ হয়েছি স্বাধীন
পেয়েছি লাল সবুজ পতাকা ।
কিন্তু আমরা রক্ষা করতে পারি নাই তোমাকে,
ঘাতকের বুলেট থেকে ।
ক্ষমা করো ক্ষমা করো হে মহান পিতা,
আমাদের ক্ষমা করো ।
তোমার রক্ত মিশে আছে পতাকার লাল জমিনে
যতদিন থাকবে এই লাল সবুজ পতাকা
ততোদিন আমরা তোমাকে ভুলবো না।
বুকে নিয়ে হারানোর জ্বালা
তোমার চেতনায় গড়বো সোনার বাঙলা ।