যখন ভাল্লাগে না কোন কাজে
হাপিয়ে উঠি খুব ।
স্মৃতির কফিন খুলে আমি
অতীতে দেই ডুব ।
আমাদের সময় ছিলো নাকো
এমন এত্তো বই ।
পড়া লেখা খেলাধুলা
করতাম হই চই ।
দুপুর রোদে ভোকাট্টা খেলা
ঘুড়ির পিছু দৌড় ।
রাত্রী বেলায় পালা দেখে
বাড়ি ফিরতাম ভোর ।
বৃষ্টি হলে ক্লাশ ফাকি
খেলতাম ফুটবল ।
হাডুডু খেলায় মাতামাতি
দেহ কাদায় তল ।
চাঁদা তুলে বনভোজনে
যেতাম দুষ্টের পাল ।
পড়া লেখায় ফাকি দিলে
মা দিত না গাল ।
নদীর জলে মাছ ধরা
সারা বেলা পার ।
ইসকুল ফাকিতে খেতে হতো
মাষ্টার বাবুর মার ।
বৈশাখ রঙের মেলায় গিয়ে
কিনতাম খেলনা কত ।
সব সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি যেন
চোখে পড়ার মত ।
নিমকি পিটি উখড়া মুড়ি
কিনতাম মিঠাই মান্ডা ।
বরফ কুচির শরবত খেয়ে
বুক করতাম ঠান্ডা ।
নাগরদোলার পিঠে চড়ে
খেতাম কত দুল ।
কেউবা আবার লটারী খেলে
ছিড়তো মাথার চুল ।
শীতের সূর্যে পিঠ দিয়ে
মিষ্টি রোদ পোহাতাম ।
মায়ের হাতে ভাপা পিঠা
ভোরে খেতে পেতাম ।
কাটা কুলি খিরা কুলি
পিঠা আছে যত ।
সব পিঠাই লাগতো মোদের
অমৃত মধুর মতো ।
ছোট বেলার স্মৃতির খাতা
শীতের রোদের মতো ।
টক মিষ্টি লাগে সেতো
আম কাঠালের মতো ।