মৃত্যুর হুলিয়া নিয়ে ছুটছি
হয়েছি অতিথি পাখির সহযাত্রী
কত দূর পথের ঠিকানা জানা নাই ।
নদীর ভাঙ্গনে এক নিশিতেই সর্বশান্ত
বসতভিটা ফসলের জমি গাছপালা
সব তলিয়ে ক্ষুধার্ত থৈ থৈ জল আর জল ।
উদবাস্ত হয়ে শহরে বন্দরে নোঙর
বস্তিতে কুকুর বিড়ালের সাথে বসবাস ।
কত আদম খাটিয়েছে প্রতিদিন
এখন নিজেই বিক্রি হয় আদম হাটে ।
কোন দিন মিলে কাজ কোন দিন অবসর
হৃদয়ের গহীনে যারা করে বসবাস
তাদের স্মৃতি অবসরে দেয় উঁকি ।
ডাকে সহপাঠি খেলার মাঠ পাঠশালা
ফসলের ক্ষেত নদী মাছ পাখির গুঞ্জন ।
ভোরে মোরগের ডাক ভেসে আসে আজান
ঘরে ঘরে কুরআনী কন্ঠ ওয়াজ মাহফিল
ঐ পাড়ায় পুজার ঘন্টা কীর্তনের গান
ঈদ বৈশাখির পুজার মেলা
বুকের জমিনে যে ফোটাতো ফুল
করিত রঙ্গ খেলা যেমন তেমন
সব হারিয়ে খাঁ খাঁ দেহ জমি মন
বাতাসে দীর্ঘশ্বসের জল মেঘ হয়ে উড়ে ।